ছাত্র-জনাতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিশেষ মনোযোগী হয়েছে পাকিস্তান। গত আগস্টের পর থেকেই এই সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে আসছে দেশটি। তাদের সেই চেষ্টাই সাড়াও দিয়েছে বাংলাদেশ।
এরই অংশ হিসেবে হিসেবে আগামী মাসে ৫দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মোঃ জসীম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন ২২ এপ্রিল ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তবে সূত্রগুলো বলছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকা সফরের সব কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দুজনেরই সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
জানা যায়, দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ের এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আকাশপথ সংযুক্তি, প্রতিরক্ষা, কৃষি খাত, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেতে পারে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা না করে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আগ্রহী নয়।’
প্রসঙ্গত, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ওপর জোর দিচ্ছে পাকিস্তান। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় এবং ডিসেম্বরে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ঐসব সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রতি ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে আহ্বান জানান।