সাতক্ষীরার তালার মেধাবী শিক্ষার্থী নয়মি সরকার ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ও মানবিক ইউনিটে ১৭৪৯ তম স্থান অধিকার করেছেন। স্কুলজীবন থেকেই আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী হওয়ায় চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই মেধাবীর।
নয়মি সরকার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের দিনমজুর জেমস যদু সরকার ও অর্চনা সরকারের মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পরবর্তী পড়ালেখা চালানের খরচ কীভাবে জোগাড় করবে এই শঙ্কায় দিন কাটছে নয়মি সরকার ও তাঁর পরিবারের।
নয়মি সরকার বাবা জেমস যদু সরকার বলেন, খলিলনগর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে আমার পৈত্রিক বাড়ী। স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় যে দুই শতক জমির উপরে বসবাস করতাম তা বিক্রয় করে তার চিকিৎসা করেছি। এখন আমি জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করি। এক ছেলে ও এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। আমি অন্যের জমিতে কাজ করে আমার সংসার চলে। চেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়, কিভাবে মেয়েকে এখন ভর্তি করবো তা আমি নিজেও জানিনা।
নয়মি সরকার বলেন, আমার বাবা আমাদের দুই ভাই বোনের খুব কষ্ট করে পড়াশুনা করান। আমি এসএসসি ও এইচ এস সিতে এ প্লাস পেয়েছি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক ইউনিটে ১৭৪৯ তম স্থান অধিকার করেছি। টাকার অভাবে আমি কোচিং ও করতে পারিনি, কোন রকম অনলাইনের মাধ্যমে কোচিং করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র টাকার অভাবে ভর্তির ব্যাপরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে আমার। আমি বিত্তবানদের কাছে ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচের সহযোগিতা কামনা করছি।
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, আর্থিক অভাবে মেয়েটির বাবা এলাকা ছেড়ে কানাইদিয়া এলাকায় বসবাস করে। তার পড়াশুনার সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি।
জালালপুর ইউনিনয়নের চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক বলেন, আমার এলাকা থেকে নয়মি সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে , আমি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
তাকে সহযোগিতার হাত বাড়ালে তার এই নাম্বারে ০১৮৬৫০২১৫২৬ (জেমস যদু সরকার ) যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তার পরিবার।