সাতক্ষীরার তালায় বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ, আহত রুগীকে চিকিৎসা প্রদানে বাঁধা ও অবৈধভাবে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তালা প্রেসক্লাবে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মো. খায়রুল ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সে উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে খায়রুল ইসলাম বলেন, মুড়াকলিয়া গ্রামের সেলিম সরদার, হালিম সরদার, মস্তোফা সরদার, ফারুক সরদার ও কলিমুদ্দিন সরদার দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখলীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৪ ডিসেম্বর সকালে ওই জমি জোরপূর্বক দখল নেয়ার জন্য তারা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে মোছাঃ ছালমা বেগম, রশিদা খাতুন ও প্রতিবন্ধী জহিরুল ইসলামকে লোহার রড, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। এঘটনায় আহতদের তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করি। পরে অবস্থার অবন্নতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তী করার পরামর্শ দিলে আমরা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করি। এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আমাদের রুগীর সেবা বঞ্চিত করে জোর পূর্বক বের করে দেয়। তালা হাসপাতালে আহত ব্যক্তিরা যাতে চিকিৎসা না পায় সে বিষয়েও তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমরা তালা থানায় একটি মামলা করি। এই ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য তারাও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। যার সঙ্গে তারা কখনো জড়িত ছিলো না বা এখনো নেই। আমি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এসকল কুচক্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।