সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনীর হামলায় আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এসময় দোকান ঘর ভাঙচুর ও মহিলা সহ ৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার জালালপুর শ্রীমন্তকাটি এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতরা সকলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, শ্রীমন্তকাটি গ্রামের আক্কাজ শেখের ছেলে আলাউদ্দীন শেখ (৫০), হানেফ শেখের ছেলে মহিদ শেখ (৪৯), হযরত আলী শেখের ছেলে রবিউল সরদার (৪০) ও হানেফ সরদারের ছেলে সিরাজ সরদার (৫৫), রহিম গাজীর স্ত্রী বাবু নাহার (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কৃষ্ণকাটি-রথখোলা এলাকায় আনারস প্রতীকের কর্মী সমাবেশে যাওয়ার পথে জালালপুর এলাকায় নৌকা সমার্থক ক্যাডার বাহিনী আনারস সমর্থীত ৯ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। এরমধ্যে ৪ জন গুরুত্বর আহত হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অন্যদিকে নতুন বাজারে নৌকা সমার্থন মিছিল থেকে রহিম গাজীর স্ত্রী বাবু নাহার এর ছেলেকে দোকানে না পেয়ে তার দোকান ভাংচুর এবং নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বাবু নাহার গুরুত্বর আহত হয়ে তালা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম মফিদুল হক লিটু জানান, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকা প্রার্থীর ক্যাডার তার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। রাতের আধারে পোষ্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তুলছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
জালালপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তি বিষয়টি অস্বীকার করে জানান স্বতন্ত্রী প্রার্থীর কর্মীরা নিজেরাই ঝগড়া করার সময় ভ্যান উল্টে পড়ে আহত হয়। এঘটনায় নৌকা সমার্থক কোন কর্মী জড়িত না।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এঘটনার খবর শুনে থানা পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।