তালা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার তালায় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান শিকদার কর্তৃক হয়রানী অর্থ আত্মসাত জমি দখল মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখা ও মিথ্যাচার ভাবে সম্মেলনের প্রতিবাদে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার সময় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালা উপজেলার আদালদিপুর গ্রামের মৃত এলাহি শিকদারের ছেলে কামাল শিকদার। লিখিত বক্তব্যে বলেন,একই এলাকার পিং মৃত আসমানতুল্লাহ শিকদারের ছেলে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান শিকদার ইউপি সদস্য হওয়ার পর নিজের প্রভাব বিস্তার করার জন্য তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী অর্থ আত্মসাত অন্যের জমি দখল মিথ্যা মামলার ভয়ভিতি দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। যে সকল জমি জায়গা দখল করতে ব্যর্থ হচ্ছে সে সকল জমির মালিকদেরকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলা মোকদ্দামা দিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করে যাচ্ছে। ডাঙ্গানলতা মৌজার এস,এ ৫৪ খতিয়ান,সাবেক ১৭৮ দাগের ১১ শতাংশ জমির মধ্যে ৬শতাংশ জমি এসএ রেকডীয় মালিক মৃত পাচু শিকারির ছেলে জয়নুদ্দীন শিকারির নিকট থেকে খরিদা সুত্রে মালিক। সাতক্ষীরা সিভিল কোর্টে ২৫ জানুয়ারী ২০১৫ সালে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ৬/১৫। বিজ্ঞ আদালতের সহকারী জজ মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম
বিগত ৮ নভেম্বর ২০১৮ সালে উভয়ের কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে কামাল গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং রায়ে সকল বিবাদীদের নালিশী জমিতে কোনরুপ প্রবেশ অনুপ্রবেশ কোন প্রকার কার্যাবলী করতে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বাকি ৫শতাংশ জমি ইউপি সদস্য হাফিজ নিজেই ভোগ করে। জাতপুর ক্যাম্প ইনচার্জ সাইদুর রহমানের কাছে অবৈধ সুযোগ সুবিধা
চেয়ে না পেয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মনগড়া.কালপনিক ও মিথ্যাচারভাবে সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে কামাল বলেন, আলাদিপুর গ্রামের মৃত রাঙ্গা মিয়ার ছেলে সিদ্দিকুর,মৃত এলাহি শিকদারের ছেলে আব্বাজ শিকদারের জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করেছে ইউপি মেম্বার হাফিজুর শিকদার। এছাড়া বয়স্ক ভাতার কার্ড,বিধবা ভাতার কার্ড,ফিয়ার প্রাইজের কার্ড ও কর্মসূচীর কাজসহ অন্যান্য প্রতারণা মুলক কর্মকান্ডের মাধ্যেমে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অসহায় নারীকে বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে অর্থ সম্পাদক আত্মসাত করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
এলাকার চিহ্নিত গডফাদার হিসেবে মদদ দিচ্ছেন মোসলেম উদ্দীন মোড়ল ও তার ছেলে সাইদুর রহমান বাবলু। গডফাদারদ্বয় আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে চাঁদার টাকা না পেয়ে একের পর এক ইউপি সদস্য হাফিজকে দিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করে যাচ্ছে। আমাদেরই শুধু নয় গোটা ৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সাধারণ জনগনকে টার্গেট করে নানা ভাবে হয়রানী করে বিপুল অবৈধ অর্থ বানিজ্য করে যাচ্ছে উক্ত গড ফাদারদ্বয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে ইউপি মেম্বর উল্টো মিথ্যাচার করে ধামাচাপা দিয়ে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে। এসকল নির্যাতিত ব্যক্তিবর্গ আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে প্রশাসন ন্যায় সংগত মিমাংসা করলে ইউপি সদস্য হাফিজ তার গঠিত বাহিনী এবং তার মদদ দাতা হিসেবে গডফাদারদ্বয়কে দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে অন্যায়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।