চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসাতক্ষীরায় তালা উপজেলার জালালাপুর গ্রামে গৃহবধূ ও আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার ধর্ষিতা দু’জনের হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে তালা থানা পুলিশ ধর্ষক আ’লীগ নেতা কামলা সানাকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষক কামলা সানা (৪০) তালার দোহার গ্রামের ফাজেল সানার ছেলে ও উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। লিখিত অভিযোগে ওই গৃহবধূ জানান, কামালা সানা তার স্বামীর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হওয়ায় তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। তার স্বামী যশোরের একটি ইট ভাটায় কাজ করার সুযোগে কামাল তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। গত ৫ অক্টোবর দুপুরে কামাল কৌশলে তাকে ডেকে বাড়ির পাশে নদীর ধারে নিয়ে ঝাপটে ধরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সহায়তায় ছবি তোলে। গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় কামাল তাদের বাড়িতে এসে ওই অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া ও স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আবারও তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক পর্যায় কামলা সানা গত বুধবার ওই ছবিগুলো তার স্বামী রফিকুলের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে তার সংসার ভাঙতে বসেছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার রাতে কামাল সানাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেহেদী রাসেল বলেন, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক কামাল সানাকে গ্রেফতারের পর গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল সানার বিষয়ে আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দলীয় ভাবেও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের প্রকাশ মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল প্রতিবেশী ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তাকে সহায়তা করে তন্ময়ের বন্ধু একই গ্রামের হিরন্ময় মন্ডল। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত শুক্রবার আশাশুনি থানায় ধর্ষক তন্ময় ও তার বন্ধু হিরন্ময় মন্ডলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।