সাতক্ষীরার তালায় কলেজ শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে পিতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মোঃ ফারুক হোসেন (৪২)। তিনি কাটাখালি গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে ও ধানদিয়ার বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইসএসসি পরীক্ষার্থী সাগর হোসেন বাদশার বাবা। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধানদিয়া কাটাখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের প্রতিবেশি শিক্ষক মইনুল আমিন মিঠু জানান, বেলা ১২টার দিকে ফারুকের ছেলে বাদশা এইচএসসি (ব্যবহারিক) পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল পরিক্ষা কেন্দ্রে। পথিমধ্যে অশোক মোড় এলাকায় আসলে তার সহপাঠি নয়ন ও লাকির সাথে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এতে নয়ন ও লাকি বাদশাকে বেধরক মারপিট করে। পরে বাদশা কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বাবাকে খুলে বলে। পরে বাবা ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মারপিটে কারণ জানতে চাইলে নয়ন ও লাকি তার মামাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে তারা তিন জন মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে ফারুক হোসেনকে মারপিট করতে থাকে এতে মারাত্মক আহত হয়। তাৎক্ষনিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে ত্রিশমাইল এলাকায় এলে তার মৃত্যু হয়। ওই সময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে সটকে পড়ে দূর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানান, ফারুক হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন বাদশা বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে বাদশা তার অপর দুই বন্ধু নয়ন হোসেন ও লাকী হোসেনের সাথে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে কাটাখালি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় বাদশা ও তার অপর দুই বন্ধুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হাতাহাতিতে রুপ নেয়। বিষয়টি ফারুক হোসেনের কানে পৌছালে তিনি নয়ন ও লাকিকে বকাঝকা দেন। অপমানের প্রতিশোধ নিতে নয়ন তার মামা কৃষ্ণনগর গ্রামের রুবেল হোসেনকে ফোন দেয়। রুবেল কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে লাঠি দিয়ে ফারুক হোসেনকে বেধড়ক পেটায়। এতে ফারুক হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে তিনি ত্রিশমাইল এলাকায় মারা যান।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, ফারুক হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।