তালা প্রতিনিধিঃ কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা সদরের অফিসপাড়াসহ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিপাত চলতে থাকে টানা ১০টা পর্যন্ত। এ বছরের সবচেয়ে বেশি
বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে জানিয়ছেন জেলা আবহাওয়া অফিস। এত অল্প সময়ে এত বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবছরই প্রথম।
এলাকাবাসি জানান, কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণে তালা উপজেলায় বেশির ভাগ রাস্ত-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। কোথাও হাটু থেকে কোমর পানি। নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়িসহ অর্ধ-শতাধিক মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে ঘের মালিকরা জানান। শতাধিক পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুল-কলেজে পানি প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে তালা সদর,খলিলনগর,জালালপুর,মাগুরা খেশরা,তেঁতুলিয়া, খলিষখালী, ইসলামকাটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাসহ পাটকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি এতে করে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমুজুর পরিবারগুলো।
মাগুরা ইউনিয়নের বালিয়াদহ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, বালিয়াদহ জয়তলা কার্লভাট দিয়ে ইসলামকাটি গনেশপুর,বাগমারা,এনায়েতপুর,খলিশখালী এলাকার বৃষ্টির পানি দ্রুত নিস্কাশনের জন্য কার্লভাটি ভেঙ্গে গেছে এছাড়াও এলাকালার কাঁচাঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে।
তালা সদরের আলমগীর হোসন জানান,তালা মডেল স্কুল সংলগ্ন একটি ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় ঐ এলাকার মানুষ বৃষ্টির পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে ।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ মফিদুল হক লিটু জানান, তার ইউনিয়নের নেহালপুর এলাকায় কালভার্ট বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টির পানি সরছেনা। যে কারণে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান,তার ইউনিয়নের দাসকাটি নিকারীপাড়া,মাছিয়াড়া কয়েকটি গ্রাম ও মৎস্য ঘের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।
তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন জানান, তালা বাজারসহ মহল্লাপাড়া,খানপুর,খড়েরডাঙ্গা এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা পনিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি সরানোর ব্যবস্থা চলছে।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, দ্রুত পানি নিস্কাশন হওয়ায় উপজেলার আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে পানি নেমে যায়। আমি অনেক এলাকা পরিদর্শন করেছি তবে এখনো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।