সাতক্ষীরার তালায় দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা জেঠুয়া পশুর হাটে শাহজাহানের চায়ের দোকানে। দোকান ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, জেঠুয়া গ্রামের মৃত: ইউছুপ আলী আকুঞ্জির পুত্র শাহাজাহান আকুঞ্জি জেঠুয়া পশুর হাট সংলগ্ন ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবত একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করে আসছে। গত রবিবার জেঠুয়া এলাকার নাজিমুদ্দিন সেখের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
ভুক্তভোগী শাহাজাহান আকুঞ্জির স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪৬) জানান, ২০০৬ সালে জেঠুয়া মৌজায় ৮০৫ দাগের ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে, তার উপর দোকান ঘর তৈরী করে তার স্বামী জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ নাজিমুদ্দিন সেখ জাল-জালিয়াতি কাগজপত্র সৃষ্টি করে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নাজিমুদ্দিন প্রকাশ্যে দোকান- পাট ভাংচুর সহ লুটপাট চালায়। লুটপাটের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দোকানের রড় সিমেন্ট লুট করে নিয়ে যায়। এতে নগদ টাকা সহ ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মেয়ে রুনা পারভীন (২০) জানান, দোকানে মা এবং আমি ছিলাম, হঠাৎ ৫০/৬০ জন লোক এসে আমাদের জিম্মি করে ভাংচুর শুরু করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ (৬৫), সাবেক ইউপি সদস্য আব্দার (৫৮), শেখ আব্দুল খালেক (৭০), আঃ মজিদ সরদার (৬০), মোহাম্মদ আলী (৫৭), লিয়াকত আলী (৫২), লুৎফর রহমান (৫৫),আকাম আলী গাজী (৬০) জানান, শাহজাহান জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবত এখানে চায়ের দোকান করেছে। হঠাৎ ৫০/৬০ জনলোক এসে হাতুর,সাবল,করাত নিয়ে দোকান ভাংতে থাকে। শাহজাহান একজন অসহায় এবং শারিরীক ভাবে অক্ষম ব্যক্তি, তাই অন্য কোন কাজ করতে পারেনা, এই চায়ের দোকানেই সংসার চলে।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ নাজিম উদ্দীন জানান, উক্ত জমি আমার, আমি কিনেছি, নিষেধ করার পরও তারা ঘর নির্মান করছে, তাই ভেঙ্গে দিয়েছি।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।