তালা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফযল মোঃ নুরুল্লাহ কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে উক্ত টাকা আদায়ের জন্য পথে পথে ঘুরছেন চরগ্রামের এনায়েত খাঁ নামের এক ভুক্তভোগি।
ভুক্তভোগি এনায়েত খাঁ জানান, ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই ঐ পদে তার ছেলে মোঃ আরিফ খাঁর নিয়োগের জন্য বাড়ির গরু ও জমি বিক্রি করে দু’দফায় ৫লক্ষ টাকা দেন অধ্যক্ষের কাছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারেননি অধ্যক্ষ। যে কারণে ওই প্রার্থী তার দেয়া ৫ লক্ষ টাকা ফেরৎ চাইলে দীর্ঘদিন ধরে নানান তালবাহানা করার পর এখন হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী প্রার্থী ও তারা পিতা অভিযোগ করেন। এছাড়া একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে ওই পদে নিয়োগ দেবার কথা বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানতে পারেন তিনি। অতিদ্রুত নিয়োগ অথবা টাকা ফেরৎ না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ঐ ভুক্তভোগী ।
তালা আলিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকে আবুল ফযল মোঃ নুরুল্লাহ একাধিক পদে লোক নিয়োগ করেছেন। প্রতিটি প্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি পকেটস্থ করেছেন। কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য চরগ্রামের এক ব্যক্তির কাছে থেকে অধ্যক্ষ ৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাটি তারাও অবগত আছেন। এছাড়া মাদ্রাসার নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকের সাথে কোন ধরনের পরামর্শ করেন না বলে জানান শিক্ষকরা।
তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শিক্ষক নিয়োগের নামে যে অর্থ বাণিজ্য করেছেন সেটি তিনি অবগত হয়েছেন। তিনি ঐ অধ্যক্ষকে ডেকে টাকা ফেরৎ দিতে বলেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তালা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফযল মোঃ নুরুল্লাহ কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে বলেন, ‘আমি বাইরে থেকে এসে এখানে চাকুরি করি। কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও আমি দেয়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা মাদ্রাসার কমিটির দায়িত্বে আছে। তাদের বাদ দিয়ে কোনও নিয়োগ দেয়া বা প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’
তালা আলিয়া মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন জানান, অধ্যক্ষের টাকা নেয়ার বিষয়টি তারা জানা নেই। তবে এ বিষয়ে তিনি অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।