তালা উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে করোনা ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও দ্রুত করোনা সংক্রমিত রোগির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু করার দাবি জানানো হয়। একই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের কাছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) তালা উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে উক্ত দাবী করা হয়।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, এলাকার মানুষের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। কিন্তু ল্যাবটি অদ্যাবধি চালু করা হয়নি। সম্প্রতি দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কায় এলাকাবাসীর মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে। আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু না করায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শত শত মানুষ। পিসিআর ল্যাব চালু হলে বেশি সংখ্যক মানুষ পরীক্ষার আওতায় আসবে। তখন রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থাটাও আরো সুন্দরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তাল উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী এলাকায় করোনাভাইরাস পজিটিভ অনেকেই থাকলেও পরীক্ষা করার সুযোগ তারা পাচ্ছে না। খুলানা ও সাতক্ষীরা থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে আনতে হয়। এ কারণে মানুষের আগ্রহটাও অনেক কম। এছাড়া এলাকায় কতগুলা করোনা রোগী আছে সেটাও জানা সম্ভব হচ্ছেনা। এরকম একটা অসচেতনতার মধ্যে আছি আমরা। ইতিমধ্যে করোনার ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তালা হাসপাতালের ল্যাবটি চালু করা হলে ভালো একটা ফলাফল বের হবে। করোনা রোগীর সংখ্যাও বোঝা যাবে এবং জনসাধারণও সচেতন হবে। এতে করোনার বিস্তার রোধ করা অনেকটা সম্ভব হবে। এছাড়া টেস্ট কম হওয়া ও রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সঠিক সময়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
এজন্য করোনা ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও দ্রুত করোনা সংক্রমিত রোগির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে তালা হাসপাতালে দ্রুত পিসিআর ল্যাব চালু করার জন্য উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
একই সাথে দীর্ঘদিন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। হাসপাতালে ৩৩ জন চিকিৎসকের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন চিকিৎসক। এছাড়া হাসপাতালের কোন পরিচ্ছন কর্মী নেই। রয়েছে বিভিন্ন পদে জনবল সংকট। তাই আরটি- পিসিআর ল্যাব চালু করার পাশাপাশি হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবী জানানো হয়।