ক্রীড়া ডেস্কঃ তাসকিন আহমেদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে বড় জয় পেয়েছে রংপুর। টুর্নামেন্টের ২৮তম ম্যাচে তারা রাজশাহী রয়্যালসকে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। এ জয়ে রংপুরের প্লে অফের আশা বেঁচে রইল।
রংপুরের দেওয়া ১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলতে ব্যর্থ হন রাজশাহীর দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ১৯ বলে আফিফ ও লিটন যোগ করেন মাত্র ১২ রান। আফিফ ১১ বলে ৭ রান করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আউট হন। আফিফকে আল আমিনের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন পেস তারকা তাসকিন আহমেদ।
দলের স্কোর ৫১ হওয়া পর্যন্ত টিকে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তিনিও রান করেন ১০০’র কম স্ট্রাইক রেটে। লিটন করেন ১৭ বলে ১৫ রান। নবম ওভারের প্রথম লিটনকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তাসকিন আহমেদ। লিটনের বিদায়ে ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক। তবে এক বলের বেশি ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। তাসকিনের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে শূন্য রানেই ফিরে যান এ ব্যাটসম্যান। স্কোরবোর্ডে ১০০ রান ওঠার আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রাজশাহী।
শেষদিকে আলোক কাপালী ৩১, রবি বোপারা ২৮, নাহিদুল ১৯ ও আন্দ্রে রাসেল ১৭ রান করে কেবল জয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন। ২০ ওভার শেষ ৮ উইকেটে ১৩৫ রানেই থামে রাজশাহী। টানা দুই বলে দুই উইকেট ও ইনিংসের প্রথম তিন উইকেট শিকার করে রংপুরের জয়ের পথ সহজ করেন তাসকিন। এরপর শেষ স্পেলে আরও একটি উইকেটের দেখা পান তিনি। ফরহাদ রেজাকে আউট করেন শূন্যরানে। ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন এ বোলার। এছাড়া গ্রেগরি শিকার করেন ২ উইকেট।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর। এদিনও ব্যর্থ হন অজি ওপেনার শেন ওয়াটসন। ৭ রান করে তরুণ স্পিনার আফিফ হোসেনের বলে আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে নাঈমের সঙ্গে গড়েন ৩৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ রান সংগ্রহ করেন নাঈম ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দলীয় ৯২ রানে ডেলপোর্টকে আউট করে আবারও রাজশাহীকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আফিফ। আউট হওয়ার আগে ডেলপোর্ট করেন ১৭ বলে ৩২ রান।
দলীয় ১১০ রানে ফিরে যান নাঈমও। তবে আউট হওয়ার আগে তিনি পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৭ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে এ ইনিংস সাজান নাঈম। এরপর লুইস গ্রেগরি ২৮ ও মোহাম্মদ নবী ১৬ রান করে আউট হন। সপ্তম উইকেট জুটিতে আল আমিন ও জহুরুল হক ১৬ বলে ৩৪ রান যোগ করলে ২০ ওভারে শেষে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। আল আমিন ১৬ ও জহুরুল ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।