দীর্ঘ ২০ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলার সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৩ নেতাকর্মী। রবিবার বিকেলে তারা কারামুক্ত হলে বিএনপি এবং অংগ সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী জেল গেটে ফুলেল শুভেচছায় তাদেরকে বরণ করে নেন। এরপর এক বিশাল মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
পুলিশের দায়ের করা নাশকতা পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ২৫ জানুয়ারী আদালতে আত্মসমর্পন করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। ৬ ফেব্রæয়ারী উচ্চ আদালত থেকে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়। আজ জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালে বিকেলে একে একে তারা বের হয়ে আসেন। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনার বিভিন্ন থানায় পুলিশ নাশকতা সহিংসতা পরিকল্পনার গায়েবী মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানার তিন মামলায় তারা কারাগারে যান।
জামিনে মুক্তি প্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মো: জামালউদ্দিন, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শেখ ফারুক হোসেন, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, ছাত্রদল মহানগর আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, সদস্য সচিব মো: তাজিম বিশ্বাস, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, সেচ্ছাসেবক দলের সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, যুবদলের মাহমুদ হাসান বিপ্লব, সিনিয়র বিএনপি নেতা মো: জালু মিয়া, শহীদ খান, নূর আলম নুরু, মো: নাসিম সহ ৫৩ জন।
এদিকে কারামুক্তির পর সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত পথসভায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, দীর্ঘ ২০ দিন আইনী লড়াই চালিয়ে আমরা সহযোদ্ধাদের মুক্ত করেছি। এরমধ্যে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই সরকার পতনের এক দফায় কঠোর আন্দোলন আসছে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, এই ফ্যাসিবাদের পতন না ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো না।
সদ্য কারামুক্ত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে কর্মীদের চোখের আড়ালে রেখেছিল। আমাদের মুক্তির দাবিতে যারা রাজপথের লড়াইয়ে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্জতা প্রকাশ করছি। তুহিন বলেন, নেতাকর্মীদের কারাবন্দী রেখে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, আমরা ১৮ কোটি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছি। আমাদের লড়াই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে। এ লড়াইয়ে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, শেখ আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, সৈয়দা রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শেখ সাদী, মেজবাউল আলম, এনামুল হক সজল,
অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, চৌধুরী কওসার আলী, মোমরেজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, বেগ তানভিরুল আযম, রোবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকির পিন্টু, শেখ ইমাম হোসেন, তারিকুল ইসলাম, সেলিম সরদার, সরোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, আলমগীর হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, গাজী আব্দুল হালিম, মিজানুর রহমান মিলটন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না, আজিজা খানম এলিজা, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, সজীব তালুকদার, আবু সাঈদ সহ ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।