তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোটে জয়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। গত ২৮ নভেম্বর (রবিবার) দেশের ১ হাজার ৮টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে স্থগিত হয় সাতটি ইউপির নির্বাচন। ৯টি ইউপির বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় ফল প্রকাশ হয়নি। ফলে ওইদিন নির্বাচন সম্পন্ন হয় ৯৯২টি ইউপিতে। আর তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৫২৫টিতে, অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৪৬টিতে। গড় হিসাব করলে দেখা যায় এই ধাপে নৌকা প্রতীকে ৫২.৯২ শতাংশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪৪.৯৬ শতাংশ ইউপিতে জয় পেয়েছেন।
ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে ৫২৫টি ইউপিতে (বিনা ভোটে ৯৯ জন), স্বতন্ত্র ৪৪৬টিতে (বিনা ভোটে একজন) ও জাতীয় পার্টি ১৭টিতে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।
এ ধাপে এক কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৬ জন ভোটার থাকলেও ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৩১৮ জন। অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৩৪টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৮৬টিতে। আর ৩৩০টিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে। এর মধ্যে একজন বিজিবি সদস্যও রয়েছেন। যদিও ভোটগ্রহণের পর নির্বাচনকে সহিংসতাহীন নির্বাচনের মডেল হিসেবে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।