ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে বরাবরের মতো কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়তি সতর্কতার বিষয়ও আছে ডিএমপি’র নির্দেশনায়। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নববর্ষ পালনে ১৩ নির্দেশনা জারি করেছে ডিএমপি।
১৩ নির্দেশনা
১. ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তা, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ কিংবা উৎসবের আয়োজন করা যাবে না।
২. খোলা জায়গায় নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না। করা যাবে না নাচ, গান কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৩. আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে বহিরাগত ব্যক্তি এবং যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। অন্যদিকে আবাসিক ব্যক্তিরা পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবেন।
৬. গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতার্তুক এভিনিউ (কাকলি মোড়) এবং মহাখালীর আমতলী ক্রসিং পথে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
৭. একইভাবে উল্লেখিত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না তাদের বর্ণিত এলাকায় যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
৮. রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
৯. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজের বাসস্থানে ফেরার কথা বলা হচ্ছে।
১০. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।
১১. রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে।
১২. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করা যাবেনা।
১৩. ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরণের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ থাকবে।