অনলাইন ডেস্কঃখুলনা চেম্বারের সহযোগিতায় উন্নয়ন রোডম্যাপ শীর্ষক সেমিনার অতিথিরা বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। তারা বলেন, আশাকরা যায় দেড় বছরের মাথায় আমরা পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। এরপর মোংলা বন্দরের গুরুত্ব আরও বাড়বে। তাই যোগাযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে খানজাহান আলী বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তাও অনেক। খুব দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট অঞ্চলের চিংড়ি চাষিদের উন্নয়নের জন্য ভেনামী চাষ করা যায় কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হবে। এতে করে চিংড়ি চাষিদের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়বে। এ অঞ্চলে পর্যটকের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিৎ। সেমিনারে অতিথিরা আরও বলেন, গ্যাস আমদানি হচ্ছে। যেহেতু খুলনায় গ্যাসের লাইন চলে এসেছে। তাই সারাদেশের ন্যায় নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে খুলনায়ও ভবিষতে গ্যাস আসবে।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির উদ্যোগে ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ এর আলোকে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় গতকাল দুপুরে খুলনা চেম্বার এন্ড কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাকক্ষে।
সেমিনারে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং আ’লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রী ও আ’লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য সচিব টিপু মুন্সি, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ এর চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন, ঝিনাইদহ চেম্বারের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, সাতক্ষীরা চেম্বারের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, বাগেরহাট চেম্বারের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক।
সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় খুলনাঞ্চলের উন্নয়নের রোডম্যাপ হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন। এমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে রূপসা ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন দ্রুত করা, কেডিএ’র জমির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, মোংলা বন্দরে ২০ ভাগ বিদেশী জাহাজ পণ্য আনলোডের ব্যবস্থা, ভোমরা বন্দরের উন্নয়নসহ ট্রাক টার্মিনাল, সাতক্ষীরায় পর্যটন কেন্দ্র, উপকূলবর্তী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও নদী খনন ও খুলনায় শিল্প পুলিশের ব্যবস্থা করা, বন্ধ মিল চালুসহ সচল মিলগুলোর যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন করা ইত্যাদি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন খুলনা চেম্বারের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি শেখ আসাদুর রহমান, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বুলু, সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা জেসান ভূট্টো, পরিচালকবৃন্দ, এম এ মতিন পান্না, জেড এ মাহামুদ ডন, এস এম ওবায়দুল্লাহ, আলহাজ্ব মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, ঠাকুর মোঃ শাহ্ আলম, জোবায়ের আহমেদ খান (জবা), মোঃ সিরাজুল হক, কাজী মাসুদুল ইসলাম, শেখ আল্লামা ইকবাল তুহিন, মোঃ আবুল হাসান, দীপক কুমার দাস, উজ্জ্বল কুমার গাঙ্গুলী, শেখ মোঃ গাউসুল আজম, মোঃ মনিরুল ইসলাম মাসুম, মোঃ মাহবুব আলম ও চৌধুরী মিনহাজ¦-উজ-জামান এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সাইফুল্লাহ্ আল মামুন ও রাজীব পারভেজ, সদস্য আরশাদ জামাল দিপু, ড. মিজানুর রহমান, এম এ রিয়াজ কচি, ফারুক হাসান হিটলু, ডাঃ মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ, শেখ সেলিম রেজা, যুবায়ের হাসান রুবন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।