বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমাজের সর্বস্তরে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। জনগণের সেবা জনগণের দোড়গোরায় পৌছে যেতে হবে। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে যেন আমাদের যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে ভূমিকা রাখার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। জাতির কল্যাণে আমরা যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। ইসলামি আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে দায়িত্বপালনে সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দখলদারিতœ ও মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। শুক্রবার(১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ইকামতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকে বলা হয় ইসলামী সংগঠন। আল্লাহর জমিনে বাতিল ও খোদাদ্রোহী মতাদর্শ উৎখাত করে ইসলামী জীবন আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগঠন প্রচেষ্টা চালায় তাকে ইসলামী সংগঠন বলে। ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামতে দ্বীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। ইসলামের সঠিক আকিদা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তির উদ্দেশ্যে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত কিছু সংখ্যক লোকের সম্মিলিত ও সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নাম ইসলামী আন্দোলন, আর এর সামষ্টিক রূপ ও কাঠামো প্রক্রিয়ার নাম ইসলামী সংগঠন। সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা পরিবর্তন করতে চাই। এটা আমরা সব সময় বলে আসছি। তার আগে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। সেই পরিবর্তনের ৩টি দিক রয়েছে। প্রথম হলো, যেই পরিবর্তনটা আমরা চাই, তার পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে কিনা? দ্বিতীয় হচ্ছে সেই পরিবর্তনের জন্য কৌশল উদ্ভাবন করা। তৃতীয় হচ্ছে, সামর্থকে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজে লাগানো। এই তিনটার যখন সমন্বয় হয়, তাহলে মানুষ পরিবর্তন আশা করতে পারে। এর যে কোন একটা ঘাটতি হলে কাঙ্খিত মানের পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির ব্ক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জ্ঞানের বিষয়ে গভীরতা অর্জনের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ত্যাগ ও কুরবাণীর মানসিকতায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূলে নেতৃত্ব বিকাশে দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের কল্যাণে সবসময় মানুষের পাশে থাকে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আর্ত মানবতার জন্য কাঙ্ক্ষিত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি দায়িত্বশীলদের আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা পালনের আহ্বান জানান।