সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন | চ্যানেল খুলনা

দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন

খুলনার দাকোপে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ভাল দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শত শত কৃষক। উপজেলা কৃষি বিভাগের গড় হিসাব মতে দাকোপ থেকে প্রায় ২১৪ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর চাষাবাদ যোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর বা ৪২ হাজার ৭৫০ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিলো ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া বোরো ধান ৩৫০ হেক্টর, সূর্য্যমুখি ১৮৮ হেক্টর, ভূট্টা ১৬ হেক্টর, বাঙি ৩৫ হেক্টর, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, গম ২ হেক্টর ও অন্যান্য শাক সবজি ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তা ছাড়া পতিত রয়েছে ১৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমি।

সরেজমিনে জানা গেছে, শষ্য ভান্ডার খ্যাত দাকোপে গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক কম জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে সেচের মিষ্টি পানির চরম সংকটের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। এবছর ফলনও অনেক ভাল হয়েছে। যে সকল কৃষকের তরমুজ আগে আগে বড় হয়েছে তারা ভাল দামে তা বিক্রি করতে পেরেছেন এবং লাভবান হয়েছেন। যাদের ক্ষেতের তরমুজ দেরিতে বড় হয়েছে সে সকল কৃষকে ফল বিক্রি করতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যাপারীরা তরমুজ দাকোপ থেকে কিনে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করছে। এদিকে ফেরী ও খেয়াঘাটে মাত্রারিক্ত টোল আদায় করার কারনে অনেক ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কৃষকদের অভিযোগ স্থানীয় দালাল, ফড়িয়া ও পরিবহন সিলন্ডিকেট, ফেরীঘাটে যানযটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন এবং ঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় না হলে আরো দাম বৃদ্ধি হতো বলে অনেকে মনে করেন। সাহেবের আবাদ এলাকার কৃষক সুকল্যান রায় জানান, আমি এবছর ৬ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছিলাম। এক বিঘার ক্ষেত প্রচন্ড খরায় নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার ৩৩ শতকের বিঘা প্রতি নিম্নে ৩০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রথমে দালালের কারণে ব্যাপারীরা ক্ষেতের দাম বলে মাত্র দেড় লাখ টাকা। এতে আমি তরমুজ বিক্রি করতে খুবিই বিপাকে পড়ি। পরে দালাল প্রতিহত করে সেই ক্ষেতের মাল বাহিরের মোকামে নিয়ে আমি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে করেছি।

তিনি আরো বলেন, এবছর তরমুজ চাষে কৃষকদের প্রতি পদেই বিঘ্ধসঢ়;ণ ঘটেছে। প্রথমত প্রকৃতি চাষীদের প্রতিকূলে ছিল মার্চ মাস অর্থাৎ চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তা ছাড়া বীজের মান ছিল খুবই নিম্ন মানের এবং হরেক রকমের ভেজাল। অন্যদিকে অসাধু সার, বীজ, কীটনাশক বিক্রেতা ও মৌসুমীক্রেতা এবং স্থানীয় দালাল ও ব্যাপারীদের সিন্ডিকেটে প্রতারনার শিকার হচ্ছেন চাষিরা। যে কারণে কৃষকদের খরচও বেড়েছে। এখনো পর্যন্ত দালালের কারণে অনেক কৃষক ক্ষেত বিক্রি করতে পারেনি। আবার অল্প কিছু সংখ্যক কৃষক প্রথম দিকে তরমুজ বিক্রি করে বাম্পার দাম পেয়ে হয়েছেন লাভবান। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে হয়তো এই সম্ভাবনাময় কৃষি তলানিতে ঠেকবে। তরমুজ চাষিদের বাঁচাতে হলে প্রথমত সরকারি পিষ্ট পোষকতায় হিমাগার তৈরী, রাস্তা ও ফেরীর উন্নয়নে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বক্ষনিক মনিটরিং এবং উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে তরমুজের দাম নিশ্চিত করে দালালমুক্ত ক্রেতাদের অবাধ চলা চল ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তারমত একই অভিমত ব্যক্ত করেন কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক সিন্ধু রায়সহ আরো অনেকে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের ফলন অনেক কম হয়েছে। কিন্তু সেচের মিষ্টি পানির সংকট হলেও এলাকার কিছু সংখ্যক কৃষক দাম পেয়েছেন ভালো। তবে এবছর তরমুজ আকারে ছোট হলেও গড় হিসাব অনুযায়ী এভারেজ প্রতি বিঘা ৫০ হাজার টাকা ধরলে ২১৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০৬টি খাল খননের প্রস্তাব মন্ত্রালয় পাঠানো হয়েছে। খালগুলো খনন হলেও কৃষকদের সেচ সংকট কিছুটা লাঘব হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের কারণে গত

কয়েক দিন আগে পোদ্দারগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে এক আদায়কারীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নিলে আবারও তিনি আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

খুলনায় ৫৮ শহীদ পরিবার পেল দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা

পদোন্নতি পেয়ে সহকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমেদ

খুবিতে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নগর স্বাস্থ্যভবনে পুননির্মিত ইপিআই জোন অফিসের উদ্বোধন করেন কেসিসি’র প্রশাসক

মহান বিজয় দিবসে কেসিসি প্রশাসকের বাণী

যৌথ শিক্ষা ও গবেষণার লক্ষ্যে খুবির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমওইউ স্বাক্ষরিত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।