এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে বটিয়াঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক কৃষক মাঠ দিবস। মিজরিও-জার্মানীর সহায়তায় উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং টেংরারচর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ৩০ জাতের ধান গবেষণা প্লটে ধানের র্যাংকিং শেষে মধ্য দাকোপ সাইক্লোন শেল্টার প্রাঙ্গণে কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
টেংরারচর কৃষক সংগঠনের সভাপতি হরিপদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং লোকজ-এর কর্মসূচি কর্মকর্তা মিলন কান্তি মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দাকোপ-এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমাান, উপসহকারী রীনা আক্তার, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সুব্রত মণ্ডল, ইউপি সদস্য জয়ন্ত মণ্ডল, স্বর্ণলতা কৃষক সংগঠনের সভাপতি রীতা রপ্তান, শিংজোড়া কৃষক সংগঠনের সভাপতি হরিপদ মণ্ডল, দক্ষিণ কৃষক সংগঠনের সাধারণ অমিতাভ রায়, টেংরারচর কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমেশচন্দ্র হালদার, প্রভাতী মণ্ডল, লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ, ট্রেনিং ও অ্যাডভোকেসি অফিসার মৌফারসের আলম লেনিন, দীপংকর কবিরাজ প্রমুখ।
মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে দাকোপ উপজেলার দাকোপ ও কামারখোলা ইউনিয়নের ১০টি কৃষক সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ৩০ জাতের স্থানীয় আমন ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা উপযোগী ১০টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১১৪ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর হলো: কুমড়োগোড়, নোনাকুচি, ঘুনসী, জামাইনাড়ু, লালমোটা, সাহেবকুচি, রানীস্যালুট, যাজিনীমোটা।
এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান ও আরুণি ধান কৃষকরা বেশি পচ্ছন্দ করেছেন। স্থানীয় ধানগুলোকে আমাদের বীজ নিরাপত্তার জন্য রাখতে হবে বলে মাঠদিবসে কৃষকরা মতামত প্রদান করেন।