চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা-জুড়ানপুর মোড় থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কটির অধিকাংশই খানা-খন্দে ভরপুর। এ ছাড়াও এই সড়কের হেমায়েতপুর গ্রামের ওপর অরক্ষিত বেহাল দশার সেতুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলজিইডি’র এ সড়কটি বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একই সড়কের হেমায়েতপুর নামক স্থানের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে। প্রতিনিয়তই এই ভাঙা সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, নতিপোতা-নাটুদাহ দুই ইউনিয়নের এই সড়ক দিয়ে শত শত ভারী যানবাহনসহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকেন। দামুড়হুদার চিৎলা-জুড়ানপুর মোড় থেকে হেমায়েতপুর-চারুলিয়া যাতায়াতের একমাত্র সড়কের হেমায়েতপুর মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাথর উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। চিৎলার মোড় থেকে হেমায়েতপুর যেতে ১০ কিলোমিটার সড়ক মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যাবাহনের পাড়ি দিতে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা থাকলেও সময় লেগে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। এতে করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ চলাচলকারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের কারণে ধীরগতিতে যানবাহনগুলোকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে তাদের বাড়তি সময় ব্যয় হয়। এ ছাড়াও এই সড়কের হেমায়েতপুর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। সেতুটির মাঝখানের অংশে ধসে পড়ার পর স্টিলের পাত দিয়ে মেরামত করা হলেও সেতুটির একদিকের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এতে করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দামুড়হুদার চিৎলায় রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নতিপোতা-নাটুদাহ দুই ইউনিয়নের সাধারণ রোগীসহ গর্ভবতী ও রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে আসা-যাওয়ায় সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এতে যেমন বাড়তি সময় ব্যয় হচ্ছে তেমনি যানাবাহনের ঝাঁকুনিতে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলি বলেন, দামুড়হুদার জুড়ানপুর মোড় থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গতের্র সৃষ্টি হওয়ায় এই সড়কে যাতায়াত চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়াও একই সড়কের হেমায়েতপুর নামক স্থানের দীর্ঘদিনের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি রেলিং ভেঙে পড়েছে। এর মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ার পর স্টিলের পাত দিয়ে মেরামত করা হলেও সেতুটির এক পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় সেটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
ঘন কুয়াশা বা রাতে অসাবধানতাবশত কোনো যানবাহন অন্য যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে গভীর খালে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়ক ও সেতুটি বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা না হলে চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়বে। সড়ক ও সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে সবাই।দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান জানান, ২০০৪ সালে নির্মিত দামুড়হুদা চিৎলার মোড় থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কটি অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। সড়কটির টেন্ডার হয়ে গেছে। কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। সেগুলো শেষ করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।