বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৮-১০ টাকা। অন্যদিকে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। নতুন করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। ব্যবসায়ীরাও বিপাকে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ ও আলু আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, এখন কৃষকদের হাতে আর পেঁয়াজ, আলু নেই। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়াচ্ছেন। একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ায় আমরা দিশেহারা।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের কেনা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৩৩ টাকা দরে। আর একটু নিম্নমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২৮-৩০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০-২৫ টাকা কেজি দরে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে দেশি ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকা কেজি।
বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মহসিন হোসেন বলেন, ‘মাল আমদানি কম হলে আড়ৎদাররা দাম বাড়াইয়া দেয়। আবার আমদানি বেশি হলে দাম কমাইয়া দেয়। আমরা বেশি দামে আনলে বেশি দামে বিক্রি করি। কম দামে আনলে কমে বিক্রি করি।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মুকিত আল বাসার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে বেতন কমার পর আর বাড়েনি। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম একের পর এক বাড়ছে। গত মাসে বাড়িওয়ালাও বাসা ভাড়া বাড়ার নোটিশ দিয়েছে। নতুন করে প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাস শেষে ধার-দেনা করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের উচিৎ বাজারটা ঠিক রাখা।
বাড্ডা কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী আহমদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন সাদা আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) ১২ টাকার আলু ১৩ টাকা কেজি কিনেছি। ফলে খরচাসহ আমাকে ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। একই আলু গত সপ্তাহ বিক্রি করেছি ১৫-১৬ টাকা কেজিতে।
আলু-পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারগুলোতে ভালোমানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি। আর মধ্যমানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহ ছিল ৫৮ টাকা কেজি।
মুরগির মাংসের দামও কিছুটা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগের ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। লাল কক মোরগ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা এবং সাদা কক মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।