খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনার ১১দিন পর দিঘলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার ৩ নং এজাহারভূক্ত আসামি তহিদুল খান (২০) কে গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
দিঘলিয়া থানায় আহত যুবক ইমন ঢালী (১৮) ‘র মা নাসিমা বেগমের দায়ের করা এজাহার থেকে জানা যায়, ২০ মার্চ তার ছেলে খানজাহান আলী থানার মীরেরডাঙ্গার বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দিঘলিয়া গ্রামের জনৈক শহীদের বাড়ি থেকে গরু আনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় তার ছেলে দিঘলিয়া ওয়াই এম এ’র নির্মাণাধীন ভবনের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এপেক্স ওরফে আলিফ মোড়ল (২১), সজল শেখ (২৩), তহিদুল খান( ২০), রাকিব মোড়ল (২২) , সাব্বির (২১), ইমন (২৩)সহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবক লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ছেলেকে প্রতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন ইমন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমনকে রাস্তা হতে টেনে-হিঁচড়ে ক্লাবের পিছনে নিয়ে যায়। এ সময় তারা তার দুই হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে এবং গলায় রশি পেচিয়ে পিছনের দিক থেকে পিটিয়ে এবং বুকে আঘাত করে আহত করে।
এসময় পথচারী ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ইমনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসী আহত ইমনকে প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা করানো হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমন ঢালি এজাহারে উল্লেখিত যুবকদের হাতে মারপিটের শিকার হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন দিঘলিয়া থানার এস আই মোঃ রফিকুল ইসলাম।