সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ১৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দুই পা ছুরির মতো চালিয়ে মন কেড়েছেন হামজা | চ্যানেল খুলনা

দুই পা ছুরির মতো চালিয়ে মন কেড়েছেন হামজা

খেলা শুরুর পর হামজাতেই চোখ ছিল বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার হামজাকে নিয়েই শুরুর একাদশ সাজান কাবরেরা। লাল রঙের ৮ নম্বর জার্সি পরে প্রথমবার দেশের হয়ে মাঠে নামেন প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই খেলোয়াড়। এমনিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে খেলতে অভ্যস্ত হলেও বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচে তার পজিশন ছিল সেন্ট্রাল মিডফিল্ড। ক্যারিয়ারে এর আগে এই পজিশনে খুব বেশি না খেললেও নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন হামজা। খেলা তৈরির পাশাপাশি প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো, বল কাড়া ও পাস দেওয়াতেও দুই পা ছুরির মতো চলেছে হামজার।

রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ ও আক্রমভাগ-হামজা মূলত এ তিনটি জায়গায় সময় বুঝে সেতুবন্ধের কাজটা করেছেন। এ কারণে গোটা মাঠে তাকে দৌড়াতেও হয়েছে অনেক বেশি। কখনো সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে, কখনো সেন্টারব্যাকে খেলার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন, আবার কখনো প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীকে মার্কিং করার কাজও করেছেন। শুধু ছেত্রী কেন, বাকিরাও হামজার শ্যেনদৃষ্টি এড়াতে পারেননি। ২৬ মিনিটে যেমন বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠেছিলেন ভারতের শুভাশীষ বোস। দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে বল কাড়েন হামজা। নইলে ফাঁকা উইং ধরে বিপদ তৈরি করতে পারতেন শুভাশীষ।

প্রথমার্ধে সব মিলিয়ে ৩টি গোলের সুযোগ তৈরি করেন হামজা। এর মধ্যে ম্যাচের ১০ মিনিটে তার কর্নার থেকে ভারতের গোলকিপারের হাত ঘুরে বল বক্সে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হৃদয়। ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের গোললাইনে গিয়ে দাঁড়ান হামজা। উদ্দেশ্য, সুনীল ছেত্রীকে চোখে চোখে রাখা। শেষ পর্যন্ত সেটা তিনি সফলভাবেই করেছেন। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল কিংবা উড়ে আসা ক্রসে ছেত্রী নাগাল পাওয়ার আগেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন হামজা। প্রথমার্ধে পাওয়া বাংলাদেশের চারটি কর্নারের সব কটিই নেন হামজা। সেট পিস কিংবা ডেড বলে বাংলাদেশের ভরসা তিনি হয়েছেন ঠিক অভিষেক ম্যাচ থেকেই। হামজার নেওয়া চারটি কর্নারের মধ্যে দুটি থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে হামজাকে দেখা গেল অন্য চরিত্রে। এবার তিনি আক্রমণে। তবে সতীর্থদের সহায়তা সেভাবে না পেয়ে নিচে নেমে আসেন। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৪ মিনিট আগে বাংলাদেশের বক্স থেকে দুবার বল ‘ক্লিয়ার’ করেন হামজা। যোগ করা সময়েও বাংলাদেশকে দুবার বিপদের হাত থেকে বাঁচান হামজা। আরও একটি বিষয় পরিষ্কার বোঝা গেছে, বিরতির পর বাংলাদেশ ও ভারতের খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিছুটা। দৌড় দেখেই বোঝা গেছে, বেশ কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু হামজাকে দেখে মনে হয়েছে, কিছুই হয়নি। ঠান্ডা মাথায় শুধু নিজের কাজটা করেছেন। দৌড়েছেন পুরো মাঠেই। হাসিও লেগে ছিল মুখে।

কিন্তু ড্র করায় সেই হাসিটা আর জয়ের হাসিতে রূপান্তরিত হয়নি। হামজা একা ভালো খেললেও একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। যে কারণে জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচে জয়টা না পেলেও বাংলাদেশিদের মনটা ঠিকই জয় করেছেন।

https://channelkhulna.tv/

খেলাধুলা আরও সংবাদ

বাফুফে স্টাফদের বোনাস হয়ে গেলেও বেতন পাননি নারী ফুটবলাররা

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ কারা জানল বাংলাদেশ

‘মেসি থাকলে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেভেনআপ হয়ে যেত’

দুই পা ছুরির মতো চালিয়ে মন কেড়েছেন হামজা

হাসপাতাল থেকে যে বার্তা দিলেন তামিম

অনিশ্চিত ব্রাজিলের ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।