প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাপারে বক্তব্য দিতে আপত্তিকর ভাষায় দুই সাংবাদিককে নোটিশ দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা শেখ মো. ফানাফিল্যাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ (বুধবার) দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়েছেন।
দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত নোটিশে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে দুদক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাংবাদিকরা। এরই এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে প্রণব জানান, দুই চিঠিতে দুই রকম ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশন তার (ফানাফিল্যাহ) দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়াও কেন দুই চিঠির ভাষা দু’রকম হলো তা জানাতে তাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দিপু সারোয়ারকে পাঠানো নোটিশটিতে বলা হয়, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আপনার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শ্রবণ একান্ত প্রয়োজন। উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৬/০৬/২০১৯ খ্রি: তারিখ ১০.৩০ ঘটিকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে।
‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে’ এ অংশটির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
এমন চিঠি দেয়া যায় কি-না- প্রণবের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০১২ সালের একটি কমন ফরম্যাট আছে। সেই ফরম্যাটে সাক্ষীদের চিঠি পাঠানো হয়। এ চিঠিতেও ওই একই ফরম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু দুই চিঠির ভাষা দুই রকম হয়েছে।
দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে যে গুঞ্জন রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা গুজব।
দুই সাংবাদিককে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিঠি প্রত্যাহার করা হয়নি।