খুলনা অফিসঃ খুলনার রূপসা (খানজাহান আলী) সেতুর টোল ঘরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় ট্রাকের টোল আদায়ে অনিয়মের প্রমাণ পায় তারা। এ ঘটনায় টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে দুদক।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান জানান, সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে বড় ট্রাকের টোল (খাজনা) ২৭৫ টাকা। কিন্তু ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা ২৫০ টাকা নিয়ে মাঝারি ট্রাকের রসিদ কাটতো। মাঝারি ট্রাকের টোল ১৮০ টাকা। বাকি ৭০ টাকা তারা আত্মসাত করতো। এভাবে প্রতিদিন ২২০/২৫০টি ট্রাকের টোলের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতো আদায়কারীরা।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে ট্রাকের রসিদ যাচাই করেছি। কিন্তু কোনো ট্রাক চালকের কাছে রসিদ পাওয়া যায়নি। চালকরা বড় ট্রাকের জন্য কেউ ২৫০ টাকা, কেউ ২৪০ টাকা করে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। অথচ বড় ট্রাকের টোল ২৭৫ টাকা। টাকা কম দেওয়ার কারণে তাদের রসিদ দেওয়া হয় না বলে চালকরা জানান। পরে টোল ঘরে অভিযান চালালে দেখা যায়, সেখানে ছোট ট্রাকের টোল কাটা হয়েছে। এ সময় সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায়, প্রতিটি বড় ট্রাকের টোল মাঝারি ট্রাক হিসেবে আদায় করা হয়েছে।
সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, এই অনিয়মের সঙ্গে সবাই জড়িত। আটক করলে সবাইকে করতে হবে-সেতুতে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যাবে, তাই কাউকে আটক করা হয়নি। তবে বিষয়টি লিখিতভাবে সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে।