ফরিদপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-এর দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান রায় দেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হিরন্যকান্দি গ্রামের মো. ফেরদৌস আলম, ওই শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকপাশা গ্রামের মো. আক্তার হোসেন ও ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগাড়া কলেজ পাড়া গ্রামের এস এম মোশাররফ হোসেন।
রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের ৪০৯, ১০৯, ৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ অধ্যাদেশের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের পিপি নারায়ন চন্দ্র দাস জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আট বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড এবং দুই কোট ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ১০৬ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
একই আইনে ৪৭১ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে সাত বছর করে স্বশ্রম কারাদন্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ অধ্যাদেশের ৫(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আট বছর করে স্বশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
আদালতের ওই আদেশে আরও বলা হয়, তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা প্রদত্ত উপরোক্ত সকল ধারার অপরাধের সাজা একত্রে গণনা করা হবে। আসামিদের হাজতবাসের সময়কাল সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
প্রসঙ্গত গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় দুদকের সহকারি পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ সহকারি পরিচালক রাজ কুমার সাহা এ মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগ পত্র দেন।