পূর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দুবলা জেলে পল্লীর ১৪ হাজার জেলে পাচ্ছেন করোনা ভ্যাকসিন। ২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহম্মাদ খোরশেদ আলম।
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদে কর্মরত প্রায় ১৪ হাজার জেলেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়ার কর্মসূচী গ্রহন করেছে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপ।
বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সাগর পাড়ের দুবলার চরে অবস্থানরত জেলেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ ) এটি এম আব্দুল ওহাব। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌরো, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অসিম কুমার সোমাদ্দার দুবলার টহল ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় ।
এছাড়া আরো রয়েছেন আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ১২ জন অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারী , রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আটজন স্বেচ্ছাসেবক সহ মোট ৪০ জনের একটি দল এই কার্যক্রমে সহযোগীতা করছেন।
তিনি আরো জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন থাকলেই ১৪ হাজার জেলেকে দেওয়া হবে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ ভ্যাকসিন। যা একবারই দেওয়া হবে। এর কোনো দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হবেনা।
পূর্ব সুন্দরবনের বাগেরহাটের ডিএফও মো. বেলায়েত হোসেন বলেন ,টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সুন্দবনে ও বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের মধ্যে স¦স্তি ফিরে এসেছে।