চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সরকার দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করছে, ফলে দুর্নীতির যেকোনো ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে বেশকিছু সফলতা অর্জন করে, উত্তম চর্চার বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছে।
সোমবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ‘রিভিউ অব দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশন’ এর দশম সেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন। দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।দুদক মহাপরিচালক কনভেনশনে জানান, দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত অনিয়ম-দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ২৫টি প্রতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। এসব টিমের সুপারশিসমূহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রেরণ করা হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নৈতিকতা চর্চার বিকাশে দেশের ২৮,১৮৩টি স্কুল-কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে দেশের ৩ হাজার ৬৫৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে। এসব সততা স্টোরে খাতা, কলম, পেন্সিলসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ রয়েছে। তবে এসব স্টোরে কোনো বিক্রেতা নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে পণ্যের নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে থাকে। উত্তম চর্চার বিকাশে এসব স্টোর গুরুত্বপূর্ণ অনুকরণীয় ভূমিকা রাখেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুদক দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন তাদের কণ্ঠ উচ্চকিত করতে পারছে পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমাজের সৎ, মর্যাদাবান এবং চারত্রিক দৃঢ়তা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে দেশব্যাপী ৫৪১টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কমিশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ চালু করা হয়েছে।বাংলাদেশ দুর্নীতিবিরোধেী এই কনভেনশনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।তিনি বলেন, এই কনভেনশন বাস্তবায়নে দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বহুমুখী কর্মতৎপরতা বাড়িয়েছে। কমিশন নতুন সাংগঠনিক কাঠামো গ্রহণ করেছে যা পূর্ববর্তী সাংগঠনিক কাঠামোর প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া কমিশন সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট, তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ অনুবিভাগ স্থাপন করেছে।