খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থ্যানে দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাফিয়া শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও দেশে সব বিপদ কেটে যায়নি। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা দেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করছেন। বায়তুল মোকাররমে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা খুবই নিন্দনীয় এবং আশঙ্কাজনক। সকল ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় শেখপাড়া মেইন রোডে ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্য ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্র্বতী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। যাতে এ সরকার নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে, ভালো নির্বাচন দিতে পারে। সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ছাত্র-জনতার বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম ধ্বংস হয়ে গেছে, এটা মনে করা যাবে না। তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের হাতে বিপুল অর্থ ও অস্ত্র আছে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তারেক রহমানের বিকল্প নেতৃত্ব নাই। দেশনায়ক তারেক রহমানের সুদৃঢ় নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তার নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। এজন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
২০নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বদরুল আলম খান, হাফিজুর রহমান মনি, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, জামাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শফি, মোস্তফা কামাল, সাঈদ হাসান লাভলু, বাবু মোড়ল, জাবীর আলী, কাজী নজরুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, হাবীবুর রহমান হাবীব, আবু ওয়ারা, আহসান হাবীব বাবু, মনিরুজ্জামান মনি, জাকির ইকবাল বাপ্পী, মুন্নী জামান, শাকিল হোসেন, এনামুল হক, মোল্লা মিজান, শফিকুল মাষ্টার, গাজী নুর মোহাম্মাদ, আবুল কালাম, আবু বক্কর মীর, শেখ ফিরোজ, শেখ ইয়াছিন, আরাফাত হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ ডেভিট, গাজী আতিকুর রহমান আতিক, খলিলুর রহমান, মো. লাভলু, আরিফুর রহমান টুকু, মনিরুজ্জামান রিপন, ডা. ছোটন, গোলাম রসুল রনি, নুর আলম রিপন, মো. গাউস হাওলাদার, গাজী আমিনুর রহমান, মো, রাজা, মাসুম, সাহাবুদ্দিন, রিপন শিকদার, তাজিম, শেখ মঈন, মানিক, নেওয়াজ, নজরুল মীর, শেখ মাহবুব, মিঠু মল্লিক, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ আরমান, সাইদুর, ইমরান প্রমূখ। সমাবেশের শুরুতে স্কীনে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রমেরামতের ৩১দফা জনগনের মাঝে তুলে ধরা হয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ মঞ্চ ছেড়ে গ্যালারিতে বসেন।