চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, উল্লিখিত অফিসে পাসপোর্ট করতে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয় এবং টাকা ছাড়া পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ যথাসময়ে সেবা প্রদান করেন না। অফিসের কিছু কর্মচারী বহিরাগত দালালদের সহযোগিতায় মাধ্যমে এরূপ অনৈতিক কর্মকান্ড করে এমন অভিযোগও লিপিবদ্ধ হয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে টিম অভিযোগের সত্যতা পায়। এনফোর্সমেনন্ট ইউনিটের সদস্যরা সাধারণ বেশে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকতে চাইলে মোঃ মিজানুর রহমান নামক এক আনসার সদস্য তাদের প্রবেশ করতে বাধা দেন। অপর এক আনসার সদস্য, আল মামুন অর রশীদ -এর ওয়ালেট (মানিব্যাগ) পলায়রনত এক দালালের নিকট হতে উদ্ধার করে দুদক। অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত দালাল মকছুদ আলী-কে ১০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। উক্ত পাসপোর্ট অফিসের সেবা প্রদানের মানোন্নয়ন এবং জনহয়রানি রোধে অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্যকে বরখাস্ত, তিন বছরের অধিক সময় কর্মরত কর্মচারীদের অন্যত্র বদলি, অফিসের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম পদবিসহ তালিকা টানানো এবং অফিস প্রধানের সাথে আবেদনকারীদের সাক্ষাতের সুযোগ প্রদান ইত্যাদি সুপারিশ প্রদান করে দুদক টিম। উপস্থিত জনসাধারণ ও সেবাপ্রত্যাশীরা দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানায়।
এদিকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৫নং বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দুস্থ প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙামাটি -এর সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরল ইসলাম এর নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টিম প্রতিবন্ধীদের জন্যে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য বন্ড সংগ্রহ করে। দুদক টিম সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও তথ্য নিরীক্ষা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করবে।
অপরদিকে ৩, ৪ ও ৫ নং অভিযানে ছয়তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে সাততলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে, খাল খননের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবং বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে ০৩টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।