চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ সরকারের ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, লুটপাট আজ পাটশিল্পকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। অথচ কয়েক দশক ধরে এই শিল্পই বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। রবিবার রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মান্না বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন পাটকলগুলো বন্ধের পরিকল্পনা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে ক্রমাগত লোকসানের কথা বলা হয়েছে। একই সাথে পরবর্তী সময়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে পুনরায় পাটকলগুলো চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তার মানে বেসরকারি অংশীদারিত্বে পরিচালিত হলে লোকসান হবে না। অর্থাৎ সমস্যাটা পাটশিল্পের নয়। সরকারের ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, লুটপাট আজ পাটশিল্পকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
মান্না বলেন, এত বড় একটা বিপর্যয়ের মধ্যে নতুন করে দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ২৫ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিতভাবেই বকেয়া হয়ে পড়ে। পাওনা আদায়ের জন্য শ্রমিকদের প্রায়ই আন্দোলনে নামতে হয়। বিগত বছরগুলোয় যারা অবসরে গেছেন, তারাও অবসর সুবিধা পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিতে যেখানে সরকারের পাটকল শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে এ রকম একটি সিদ্ধান্ত সরকারের জনবিচ্ছিন্নতাকে আরেকবার সামনে এনেছে। মান্না বলেন, আমি নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি এবং পাটকল শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।