প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, প্রত্যেকেরই বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতার সমাপ্তি ঘটে, যখন কেউ মিথ্যা ছড়ায়, যা অন্যের ক্ষতি করে। সজীব ওয়াজেদ জয় শনিবার (৯ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি পোস্ট শেয়ার করে এসব কথা লিখেছেন।
‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার’—সিএনএনের এমন শিরোনামের প্রতিবেদনটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কয়েকজন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে যারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। এটিই যুক্তরাষ্ট্রে বাক্স্বাধীনতার সীমা।’
বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যারা অভিযোগ করে’ তাদের উদ্দেশে জয় তার পোস্টে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও নির্দেশ জারির ক্ষমতা দেয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, আদালতের অধীন হওয়া উচিত।
সজীব ওয়াজেদ জয় পোস্টে আরো লিখেছেন, ‘সবার বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতা শেষ হয় যখন কেউ মিথ্যা ছড়ায়, যা শেষ পর্যন্ত অন্যদের ক্ষতি করে। অন্যের ক্ষতি করার অধিকার কারো নেই।’
নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘আমি চাই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং পশ্চিমা অন্য দূতাবাসগুলো এই পোস্ট থেকে নোট নিক। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে আর ভণ্ডামিপূর্ণ বিবৃতি দেখতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের ঢুকে পড়া এবং হামলার ঘটনায় ফেসবুক ও টুইটার থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট বন্ধ করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশন চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটলে হামলা চালায়।
ক্যাপিটলে গত বুধবার সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যা দিয়ে টুইট করার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ১২ ঘণ্টার জন্য লক করে দেওয়া হয়। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনার পরই ট্রাম্পের করা তিনটি টুইট নীতিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে মুছে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। পরে ১২ ঘণ্টা পর অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে অ্যাকাউন্ট চিরতরে বন্ধ করা হতে পারে বলে টুইটারের পক্ষ থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ উপায়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।