জীবনের প্রতিটি দিন স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চিন্তে কাটবে না। কখনো কখনো দুশ্চিন্তা এসে ভর করে। নানা রকমের দুশ্চিন্তা হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। নিউইয়র্কের রচেস্টার মেডিকেল সেন্টারের সেন্টার ফর মাইন্ড-বিডি রিসার্চের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথি হেফনার বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে দুশ্চিন্তা, স্বল্পপুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়ামে অনীহার ফলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, মানসিক চাপের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সাধারণত আরও ভয়াবহ হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য কিছু কাজ করা উচিত। সেসব কাজ হলো-
মেডিটেশন করুন
মানসিক চাপ থেকে মনকে প্রশান্ত রাখার জন্য মেডিটেশন করা প্রয়োজন। এটি একটি কার্যকরী উপায়। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, টানা ৩ দিন ২৫ মিনিট করে মেডিটেশন করলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। ড. হেফনার বলেন, ‘ইয়োগা, ধ্যান শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।’
পরিমিতভাবে ঘুমান
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য পরিমিত ঘুম একান্ত প্রয়োজন। শরীর সজীব ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্ক সারাদিনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নাড়াচাড়া করতে থাকে। এর ফলে মানুষ স্বপ্ন দেখে। পরিমিত ঘুমের মাধ্যমে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তবে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস করা উচিত নয়।
মেলামেশা করুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির আরেকটি উপায় বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করা। তাদের সঙ্গে আড্ডায় অংশ নিলেও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়। দুশ্চিন্তার ব্যাপারে কাছের কোনো বন্ধুর সঙ্গে বললে মন হালকা হয়। এছাড়া অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে দুশ্চিন্তা থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
ক্ষোভ পুষে রাখবেন না
মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা হতে হতে এক সময় তা অনেক বড় হয়ে যায়। তখন দুশ্চিন্তা হতে থাকে। কোনো কিছু নিয়ে একাধিকবার ভাবলেও মাধ্যমে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। নিউরোসায়েন্সের গবেষণায় দেখা যায়, ক্ষমা করার বদলে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ অনেক বেড়ে যায় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।