চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ দেশের চিকিৎসাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের উদ্যোগ সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশীয় চিকিৎসাকে এগিয়ে নিতে যা কিছু করার প্রয়োজন, আমাদের সরকার তা করবে। প্রয়োজনে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্প্রতি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জোড়া লাগানো জমজ শিশু রাবেয়া-রুকাইয়াকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করেন চিকিৎসকরা। সেই অস্ত্রোাপচারে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন গণভবনের ওই অনুষ্ঠানে। এসময় রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে রাবেয়া-রুকাইয়ার মতো জোড়া লাগানো জমজদের আলাদা করার মতো জটিল অস্ত্রোপচারও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর থেকে জটিল চিকিৎসা যেন আমাদের দেশে করা যায়, তার জন্য সব ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করব।’
সরকার এ জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের বিদেশে পাঠানোসহ শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আমরা করব। এ জমজ শিশুর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এখন আমরা এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরও উন্নয়নে মনোনিবেশ করব।’
‘আমাদের বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণার’
অনুষ্ঠানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফশিউর রহমান, ডিজিএমএসের কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক দলের ডা. কেসাপোডি, ডা. কোসোকি ও পাটাকি বক্তব্য রাখেন। রাবেয়া-রুকাইয়ার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম ছাড়াও চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে।
চলতি বছরের ২ আগস্ট ঢাকার সিএমএইচে দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো জমজ শিশু রাবেয়া ও রুকাইয়াকে আলাদা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হাঙ্গেরির সরকারি সংস্থা ডিফেন্সলেস পিপল ফাউন্ডেশনের (এডিপিএফ) সহযোগিতায় এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। পাবনার চাটমোহরে জন্ম নেওয়া রাবেয়া-রুকাইয়াকে এর আগে জমজ শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে তাদের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করেন।