খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে দেশি মুরগির খামার। অন্যান্য মুরগির থেকে এ মুরগি পালনে লাভ দ্বিগুণ। তবে সঠিকভাবে মুরগি পালনের উপায় জানতে হবে খামারিদের। কারণ দেশি মুরগি পালন খুব সহজ এবং খরচও কম। তাই এটি পালনে অল্প সময়ে অধিক লাভ করা সম্ভব। দেশি মুরগি পালনে অধিক লাভ হওয়ার কারণ অন্যান্য মুরগির একবার রোগ দেখা দিলে খুব ঝুঁকিতে থাকে, সে তুলনায় দেশি মুরগির ঝুঁকি কম। বাজারে দেশি মুরগির চাহিদা অন্যান্য মুরগির তুলনায় অনেক বেশি।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, বাণিজ্যিকভাবে খামার করে সে মুরগি বিক্রি করার ক্ষেত্রে দেশি মুরগি দিয়ে বাজারে প্রবেশ একদম সহজ। অন্যান্য মুরগি এক মাসের উৎপাদন খরচের তুলনায় দেশি মুরগির উৎপাদন খরচ কম। দেশি মুরগির বাচ্চা তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। অন্যান্য মুরগি খুব দ্রুত উৎপাদন হলেও সামগ্রিক খরচের তুলনায় লাভ কম এবং ঝুঁকিও অনেক বেশি। দেশি মুরগির বাজারদর খুব বেশি ওঠানামা করে না। যার ফলে বাজারে মুরগির দাম একবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। দেশি মুরগির ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি ছাড়া কমেছে এমনটা দেখা যায় না।
ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলশি গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান গাজী জানান, বাণিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি চাষ শুরু করেন। তিনি প্রথম ডিম ফুটিয়ে চাষ শুরু করেন। বর্তমান ১৫০টি মুরগি পালন করছেন। তার নিজের একটি ফার্মেসির দোকান থাকলেও পাশা?পাশি দেশি মুরগির চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চান। উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের মধুগ্রামের মো. খোকন গাজির স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামের বিজন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী দিপা বিশ্বাস ডুমুরিয়ার সাজিয়াড়া গ্রামের শিমা রাহা,রিংকু রাহা,খর্নিয়াগ্রামের ইসলাম মোড়ল,ও সাহস গ্রামের ইমরুল ইসলাম অনুরূপভাবে দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন করে লাভবান হচ্ছেন।