দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ।
দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনা টিকা নিতে পারেন। করোনা টিকার আওতায় এসেছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও।
এছাড়া ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেয়া নিয়েও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এখন যারা ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির (ফ্রন্টলাইনার), তাদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপে কিছু আপডেট করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, এ মাসেই এই কাজ শুরু করা যাবে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে আরও দেড় থেকে দুই কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। হাতে প্রায় চার কোটি টিকা আছে। আজকেও যুক্তরাজ্য থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। টিকার কোনো অসুবিধা নেই।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যে দুজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল, তারা এখন ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। তৃতীয় কোনো ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ জনে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও ১৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ জন।