সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আ. খালেক বলেছেন দিন যতই যাচ্ছে ততই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। স্বাস্থ্য বিধি আর সামাজিক দুরত্ব না মানার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বিশে^র অনেক দেশ নিয়ম নীতি মেনে চলায় তাদের করোনা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। করোনা আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান এখন ২১তম। প্রতিদিন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি এলাকা রেড জোন ঘোষনা করেছে। এখনই আমাদের ব্যপক সচেতনতা অবলম্বন করতে না পারলে আমরা কেউ করোনান হাত থেকে রেহাই পাবোনা। তিনি বলেন করোনার কারনে লকডাউন আর সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে দেশের অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সরকার ওইসব কর্মহীন মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে ঘরে থাকার আহবান জানালেও অনেক মানুষ তা না মেনে সামাজিক দুরত্ব ভেঙ্গে চলাচল করছে। এরফলে ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছে দেশ। করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানেনা। সাবধানতাই এখন হতে পারে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। একের পর এক দূর্যোগ দেশের মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। এ নিয়ে সরকার বেশ চিন্তিত। সরকার কর্মহীন মানুষ যাতে তিনবেলা খেয়ে বেচে থাকতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধৈর্য্য ও সাহসিতকার পরিচয় দিয়ে সবকিছু মোকাবেলা করছে। দেশের এই দূর্যোগময় মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন করোনান মত মহামারি ও বিভিন্ন সময় দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এতে ভেঙ্গে পড়লে হবেনা। সাহসিকতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সব কিছু শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি ১০ জুন বুধবার সকাল ১০টায় রামপাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবীল থেকে উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৫৬ জন ঈমামের হাতে পাঁচ হাজার টাকার অনুদানের অর্থ ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ২৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মধ্যে ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দ ৫০বান ঢেউটিন ও নগদ দেড়লাখ টাকা বিতরন করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মেয়র সকাল ৯টায় মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে রামপাল -মোংলা বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৩০০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষের মধ্যে ত্রান বিতরন করেন। এ সময় মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল রঞ্জনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।