খুলনায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হুসাইন শওকত। জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পরিসংখ্যান, উন্নয়নের সোপান’।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়। উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও সঠিক পরিসংখ্যান অপরিহার্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সম্পন্ন করেছে ও অল্প সময়ের মধ্যে শুমারির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তির সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে পরিসংখ্যান ব্যুরো তার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। আবার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জাতি সামনে এগুতে পারবে না। স্থানীয় সরকার দপ্তরের মাধ্যমে সঠিকভাবে সকল শিশুর জন্মনিবন্ধন হলে জনসংখ্যার হিসাব সহজে পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন শুমারি ও জরিপ পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে দেশে মূল্যস্ফীতি, মজুরি সূচক, বাড়িভাড়া সূচক, নির্মাণসামগ্রী সূচক নির্ধারণ করা হয়। আবার জলবায়ু ও পরিবেশ, দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা হয়। একই সাথে এসডিজির ২৩১টি সূচকের মধ্যে ১১১টি সূচকের তথ্য বিবিএস এককভাবে সরবরাহ করে। বিবিএস এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিলো ৪৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ১৯৭১ সালে ছিলো ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় ২৭৬৫ মার্কিন ডলার যা ১৯৭১ সালে ছিলো ৯৩ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছরে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্রের হার ১৮.৭০ শতাংশে নেমে এসেছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আকমল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মো: আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দিবস দুইটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।