চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মোট ১১ কোটি ৬১ লাখের বেশি। এর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ কোটি ৬৩ লাখ। মূলত করোনার কারণে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি এক জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে। তবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী এক জরিপে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের টেলিনর গ্রুপ, গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, করোনার শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ তরুণ ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ তরুণেই আবার দিনরাত সব সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ১৫ শতাংশ সন্ধ্যায় আর ২ শতাংশ শুধু স্কুল চলাকালে ইন্টারনেট চালু রাখে।
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড- এ চারটি দেশে জরিপটি পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের করপোরেট কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার তাজরিবা খুরশীদ।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরিপে ৩ হাজার ৯৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ বাংলাদেশি তরুণ।
জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি তরুণদের ৮৫ শতাংশের মনে করেন, অনলাইন বুলিং একটি মারাত্মক সমস্যা। দেশে বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তার সঙ্গে তালমিলিয়ে বিষয়টির দিকে নজর রাখা এবং সচেতনতা তৈরির গুরুত্বও এখন অনেক বেড়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়া সব দেশের ২৯ ভাগ তরুণ জানিয়েছে, করোনার আগেই তারা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ জানিয়েছে, করোনা শুরুর পর থেকে তারা আরও বেশি অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছে।
জরিপে অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে তরুণরা আরও কী কী নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ চান, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।
তরুণরা অনলাইনে হয়রানি মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস (৫৬ শতাংশ), অনলাইনে তাদের গোপনীয়তা রক্ষা (৪৬ শতাংশ) এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি (৪৩ শতাংশ) সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা মেসেজিং অ্যাপে (৪০ শতাংশ) অনলাইন বুলিং থেকে সুরক্ষা পেতে এবং গেমিং ও স্ট্রিমিং ভিডিও গেমসের (৩৭ শতাংশ) সময় অনলাইন বুলিং প্রতিহত করতে আগ্রহী।