দেশে বর্তমানে চলছে ব্যানডিট ডেমোক্রেসি (ডাকাতের গনতন্ত্র) উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ডামী সরকারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে চোরাচালানকারীরা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদ দুর্নীতিবাজরা দখলে রেখেছে। চলমান আন্দোলনে বিএনপি রাজনীতিতে জয়লাভ করেছে। আন্দোলনের মাঠে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, গুলি, বন্দুক ও সাউন্ড গ্রেনেডের আধিপত্য হয়েছে। কিন্তু চলমান আন্দোলনে জনতার বিজয় হবেই।
তৃনমুলে বিএনপিকে আরো বেগবান, শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল তিনটায় নগরীর অভিজাত ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলে খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে না, সে সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। তিনি আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। খুলনা মহানগরীর ইউনিটগুলোকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিনত করা আহবান জানিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশ ও জনগণ কোনোটাই নিরাপদ নয়। অবৈধ সরকার জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। এই পরিবারের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। এ জন্য খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি রাখা হয়েছে। আর যে মানুষটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ১৮ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছেন সেই তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে নির্যাতন করে, লুটপাট করে, অপকর্ম করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তাদের দিন ফুরিয়ে আসছে। যতদিন না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং তারেক রহমান এ দেশে ফিরে আসবেন, ততদিন কেউ রাজপথ ছাড়বেন না।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে স ম আ রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মহানগর বিএনপির সদস্য ফখরুল আলম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, অ্যাডভোকেট মাসুম রশিদ, কে এম হুমায়ূন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, অ্যাডভোকেট চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল হক মিল্টন, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, ফারুক হোসেন হিলটন, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজীব, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমদ ইস্তি, জাসাসের এম এ জলিল, ছাত্রদলের মোঃ তাজিম বিশ্বাস, কৃষকদলের শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ প্রমূখ।