আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে এদেশের ছাত্র-যুবকেরা। মাতৃভাষার জন্য রক্ত দেওয়ার ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল। একমাত্র বাঙালি জাতিকেই তার মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর আন্দোলন, সংগ্রাম করতে হয়েছে। অসংখ্য মানুষের রক্ত, ঘাম, শ্রম, জেল, জুলুম এবং জীবনের বিনিময়ে অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাতৃভাষার অধিকার। এ কারনে দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এবার একুশ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। দেশের অভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের চলমান অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে একের পর এক গুঁজব ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে এদেশেরই কিছু মানুষ, কিছু রাজনীতিবিদ। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের শুরু থেকেই এমনিভাবে বাংলা ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাথে বাঙালি নামধারী কিছু মানুষ যেমন সেদিন বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল একইভাবে সেই প্রক্রিয়া আজও চলমান।
‘৪৭ এর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করাচীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের সুপারিশসহ প্রচারমাধ্যম ও বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র উর্দু ভাষা ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত বাঙালিদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাকে তাদের অনুমোদিত বিষয়তালিকা থেকে বাদ দেয় ও সাথে সাথে মুদ্রা এবং ডাকটিকেট থেকেও বাংলা অক্ষর বিলুপ্ত করে। ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ১৯৪৭ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ছাত্রদের একটি বিশাল সমাবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্ররা ঢাকায় মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করে।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের দাবি জানান। তার এই দাবি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে তা অগ্রাহ্য করা হয়। ফলে ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়৷ সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১১ ই মার্চ সাধারন ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট কর্মসূচি সফল করতে ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, নঈম উদ্দীন আহমদ, দবিরুল ইসলাম, খালেক নেওয়াজ খান সহ সদ্য প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের নেতারা সাহসি ভূমিকা পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৬৯ জন আন্দোলনকারীকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকায় ১৩-১৫ মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়। ১৯ মার্চ পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ’র ঢাকায় আসার কর্মসূচি ছিল। ফলে ছাত্রদের আন্দোলনকে বন্ধ করতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে অপকৌশলের আশ্রয় নেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন। ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসেন তিনি। আলোচনা শেষে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগ দাবির সাথে একমত পোষণ করে ৮ দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। ৮ দফা চুক্তিতে যা ছিল-
১. ভাষার প্রশ্নে গ্রেফতার করা সবাইকে মুক্তি প্রদান করা হবে।
২. পুলিশি অত্যাচারের বিষয়ে তদন্ত করে একটি বিবৃতি প্রদান করা হবে।
৩. বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য পূর্ব বাংলার আইন পরিষদে একটি বিশেষ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
৪. সংবাদপত্রের উপর হতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
৫. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
৬. ২৯ ফেব্রুয়ারি হতে জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে।
৭. পূর্ব বাংলার সরকারি ভাষা হিসাবে ইংরেজি উঠে যাবার পর বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসাবে প্রবর্তন করা হবে।
৮. রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন “রাষ্ট্রের দুশমনদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় নাই” এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী ভুল স্বীকার করে বক্তব্য দিবেন।
প্রকৃতপক্ষে তার এই আলোচনার উদ্যোগ এবং ৮ দফা চুক্তি ছিল ক্ষুব্ধ ছাত্রদের ক্ষোভকে প্রশমিত করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পূর্ববঙ্গ সফর নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা। খাজা নাজিমুদ্দিন তার স্বাক্ষরিত ৮ দফা চুক্তির প্রথমটি ছাড়া আর কোনটিই বাস্তবায়নের দৃশ্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি।
পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ তার পূর্ব নির্ধারিত ঢাকা সফরে আসেন৷ ২১ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোষণা দেন “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা।” এরপর ২৪ মার্চ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তার উক্তির চরম প্রতিবাদ জানায় এবং উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়। ১৯৪৮ সালের ১৫ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে করা ৮ দফা চুক্তির কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে খাজা নাজিমুদ্দিন ও প্রয়াত পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্থপতি মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানের জনসভায় দীর্ঘ ভাষণে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু’ বলে ঘোষণা দেন। নাজিমুদ্দিনের বক্তৃতার প্রতিবাদে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২৯ জানুয়ারি প্রতিবাদ সভা এবং ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালন করে। এবং সেদিনই ২১ ফেব্রুয়ারি প্রদেশব্যাপী হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এ সময় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারে বসে এবং কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর যখন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে, বসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অনেক নেতা হাসপাতাল ও কারাগারে শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাত করে ভাষা আন্দোলন বিষয়ে করণীয় ঠিক করতেন।
২০ ফেব্রুয়ারি সরকার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় এক মাসের জন্য সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিভিন্ন হলে সভা করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আওয়ামী মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের কিছু সদস্য নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার পক্ষে থাকলেও, সবশেষে ১১-৩ ভোটে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেদিন (১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) সরকারি আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। শহিদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের অনল দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয় । ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শফিউর রহমান শফিক, রিক্সাচালক আউয়াল এবং অলিউল্লাহ নামক এক কিশোর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়।
ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক ১৯৫৬ সালে প্রণিত পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে বাংলা ও উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রবর্তিত হয়। শেখ হাসিনা সরকারের সফল কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বাংলাদেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বহু দেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
আজকের এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি পাকিস্তানের আইনসভায় প্রথম বাংলা ভাষার দাবি উত্থাপনকারী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ভাষা শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার, আওয়াল, অলিউল্লাহ সহ নাম না জানা অসংখ্য শহিদকে। স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, শামসুল হক, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অলি আহাদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, দবিরুল ইসলাম, নঈমুদ্দীন আহমদ, খালেক নেওয়াজ খান, আবুল কাশেম, শামসুল আলম, কাজী গোলাম মাহবুব, মেঃ বায়তুল্লাহ, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, আব্দুল মমিন তালুকদার, শেখ আব্দুল আজিজ, আব্দুল মতিন সহ ইতিহাসে উপেক্ষিত নাম না জানা অসংখ্য সাহসি নেতৃত্বকে, যাদের জীবন এবং ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার।
স্মরণ করছি ‘৪৮ এর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া খুলনার প্রথম ভাষা শহিদ, বিএল কলেজের ছাত্র ফেডারেশন নেতা আনোয়ার হোসেনকে। স্মরণ করছি খুলনার ভাষা বীর বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ উদ্দীন আহমেদ, তৎকালীন ন্যাপ ও পরবর্তীতে ৭০’র নির্বাচনে খান এ সবুরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হওয়া আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য এম এ গফুর, ৭৩’র নির্বাচনে খুলনা সদর আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এম এ বারী, আবু মোহাম্মদ ফেরদৌস, এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই , সমীর আহম্মেদ, ছাত্র ফেডারেশন নেতা স্বদেশ বসু, সন্তোষ দাশগুপ্ত, ধনঞ্জয় দাশ, মাজেদা আলি, মুসলিম ছাত্রলীগের জিল্লুর রহমান, মতিয়ার রহমান প্রমুখকে। ৫৬ সালে অদম্য বাঙালি জাতি যেমনিভাবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তেমনিভাবে ২০২২ সালে ও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এটাই হোক এবারের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে সকলের প্রত্যয়।
লেখক :: মোঃ নজরুল ইসলাম, কলাম লেখক ও তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা