০২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ (বৃহস্পতিবার) দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি কর্তৃক ‘মানসিক নির্যাতনে কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ’ শীর্ষক প্রকাশিত খবরে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক- কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উদ্দেশমূলক তথ্য প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও সুষ্পষ্ট উস্কানি দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- ‘ঘটনার পর সেজান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আসলাম পারভেজসহ কয়েকজনের সাথে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য আলোচনা করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রকৌশলী আসলাম, প্রকৌশলী রুমেন রায়হান, প্রকৌশলী রাজিন ভাইস-চ্যান্সেলর এর সাথে আলোচনা করেন এবং তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে আন্দোলনে নামেন।’
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন প্রকৌশলী মো. আসলাম পারভেজ ছুটিতে ছিলেন এবং খুলনার বাইরে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া সংবাদে আরও বলা হয়- ‘১ ডিসেম্বর দুপুরে ছাত্ররা প্রশাসনিক ভবনে ভিসির সাথে দেখা করতে আসলেও ভিসি সুকৌশলে পালিয়ে যান। ছাত্ররা না খেয়ে আন্দোলন করলেও তিনি দিব্বি বাংলোয় অবস্থান করেন। তাকে ফোন (০১৭১১-৮৮৪০৪৪) দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।’
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেন তার নিজ বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শোনার পর ভাইস-চ্যান্সেলর কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ছুটে যান এবং তাকে তার নিজ বাসভবন থেকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আনার ব্যবস্থা করেন। পরে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দিলে তাৎক্ষণিক ভাইস-চ্যান্সেলর এর নির্দেশনায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ওইসময় অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের সাথে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজায় ভাইস-চ্যান্সেলর অংশ নেন এবং জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে তিন জন শিক্ষকসহ পরিবারের সাথে তার গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়ায় দাফনের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী লাশবাহী গাড়িটি আটকে রেখে মরদেহের ময়না তদন্তের দাবি জানায়। কিন্তু মরহুম শিক্ষকের পরিবার এতে রাজি না হয়ে ছাত্রদের কাছে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে রাত ১০টায় ভাইস-চ্যান্সেলর এর নির্দেশনায় ছাত্রদের সাথে আলোচনার পর লাশবাহী গাড়ীটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ দুইঘন্টা ভাইস-চ্যান্সেলর সার্বিক পরস্থিতি নিয়ে শিক্ষক-ছাত্রদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ১ ডিসেম্বর ভাইস-চ্যান্সেলর সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সকলের সাথে কথা বলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন-তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক তথ্য পরিহার করে সঠিক তথ্য প্রচার করেন।