নগরীর দৌলতপুরস্থ দেয়ানা পশ্চিমপাড়ায় যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে ভিকটিমের পিতা জুম্মান শেখ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও সহায়তা করার অপরাধে ভিকটিমের স্বামী মোঃ আসলাম বিশ্বাস (২৮), মোঃ জয়নদ্দিন বিশ্বাস (৫৫), মোসাঃ ফরিদা বেগম (৪৮) ও মোঃ আশরাফ বিশ্বাস কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৬।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে আছমা খাতুন (২০) এর সাথে ডুমুরিয়া থানাধীন থুকড়া বাজার সংলঘ্ন শান্তি নগর নিবাসী মোঃ জয়নদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আসলাম বিশ্বাস (২৮) এর সাথে প্রায় ০১ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর হতেই এজাহার নামীয় আসামীদ্বয় আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ইতিপূর্বে আমি যৌতুক হিসাবে এক লক্ষ টাকা ও সংসারের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে দেয়। অতঃপর এজাহার নামীয় আসামীদ্বয় পুনরায় আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি পূর্বক শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে। সর্বশেষ ১৭ জুন যৌতুকের দাবিতে আসামীদ্বয় আমার মেয়ে আছমাকে আমার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এবং গত ২০ জুন আমার মেয়ে বাদী হয়ে আদালতে যৌতুকের দায়ে নির্যাতনের ধারায় মামলা দায়ের করে। এ সকল ঘটনার জের ধরে গত ২৪ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আমার মেয়েকে টিনের ঘরের কাঠের আঁড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলতে দেখে আমার স্ত্রী। এ সময় আমার স্ত্রীর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগীতায় আছমাকে নামিয়ে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম আসমাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মিজানুর রহমান জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এজাহার নামীয় আসামী ভিকটিমের স্বামী মোঃ আসলাম বিশ্বাসকে ঘটনার দিনেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আসামী আসলাম বিশ্বাসকে আদালতে সোর্পদ করা করা হয়েছে এবং বাকী এজাহার নামীয় আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের জোরদার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।