চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী নানা সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বাংলাদেশের সংকটকে ঘনীভূত করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শহরগুলোতে তীব্র যানজট, পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের একেরপর এক চক্রান্ত বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কার্যকারী উদ্যোগ নিতে হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা ও বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ৩ টায় কৈয়া বাজারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ উপরোক্ত কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা হরিনটানা থানার সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিবে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবতার মুক্তির বাণী নিয়ে এসেছেন। একটি জাহেলি সমাজকে ইসলামের মাধ্যমে আদর্শিক সমাজে পরিণত করেছেন। যা সারা পৃথিবীতে আজও রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। সুতরাং রাসূল সা. এর উম্মত হিসেবে নবীর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সবুর, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল গালিব, বিডিয়ার (অবঃ) মোহাম্মদ আল-আমিন, মোঃ আলম তালুকদার, শেখ মনির হোসেন, মোঃ সোহরাব আকন, মোহাম্মদ নয়ন হোসেন, মুফতি রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহিম, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মোঃ রহিম, হাফেজ মাওলানা আব্বাস আলী, মোঃ মনজুরুল ইসলাম, হাফেজ আরাফাত হোসেন, আলহাজ্ব শাহিন আকন, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা বেলাল হোসেন, মুফতি শরিফুল ইসলাম, হাফেজ সলেমান আকন, হাফেজ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাদীসুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ বাসার বিল্লাহ, ইসলামী যুব আন্দোলনের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মোঃ তুহিন শেখ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।