আইনের দোহাই দিয়ে ধর্ষণের ঘটনার বিচার বিলম্বিত করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরিন আমিন ভূইয়া।
তিনি বলেন, আমরা শুধু আইনের কথা বলি, রুলসের (আইন) দোহাই দেই; কিন্তু এই রেপিস্টদের (ধর্ষক) শাস্তি দিতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে পারলে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ সমাবেশ করেন। এতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির, অধ্যাপক আবু হুসাইন মোহাম্মদ আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বিভাগের প্রভাষক শেহরিন আমিন ভূইয়া।
লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আবু হুসাইন মোহাম্মদ আহসান বলেন, আমাদের প্রতিবাদ প্রতিনিয়ত জানাতে হবে। এটা কীটের মতো রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটাকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
বিভাগের আরেক অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির বলেন, ধর্ষকরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। পশুরা অন্তত তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে এসব করে না; কিন্তু আমাদের ছোট মেয়েটাকেও তারা ছাড়েনি। আমরা যেন এ ঘটনাগুলো ভুলে না যাই। আমরা ভুলে যাই বলেই ধর্ষকরা কিছুদিন পরপর তাদের কুৎসিত রূপ দেখানোর সাহস পায়।
সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল বাশার বলেন, আপনি (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) রাত ৩টায় বাইরে ঘুরে আমাদের সিরিয়াসনেস দেখাবেন না। আমরা রাস্তায় আপনার সিরিয়াসনেস দেখতে চাই। আমাদের মা-বোনদের নিরাপদ দেখতে চাই, আমরা এত প্যাঁচ দেখতে চাই না।
এদিকে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, সারা দেশে যৌন হয়রানি ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে ক্লাশ বয়কট কর্মসূচিও করেছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।ললেন, ‘শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করেছি’