নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন। নেই ট্রেড লাইসেন্স। দেশের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে বিএসটিআইয়ের ভূয়া সিল লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার। নিম্ন মানের এসব ডিটারজেন্টে সয়লাব ডুমুরিয়ার বাজার।
গোপনে নকল ডিটারজেন্ট উৎপাদন করতে নির্জন জায়গায় কারাখানা গড়ে তুলেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অমান্য করে ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা দেদারছে বিক্রি করছেন নকল পাউডার। ডুমুরিয়ার বিভিন্ন বাজার ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম হওয়ায় এসব বিক্রিও হচ্ছে বিপুল পরিমাণে।
এসব নকল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করায় একদিকে যেমন হাত-পায়ে চর্মরোগ হচ্ছে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে ম‚ল্যবান কাপড়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ভোক্তাদের।
ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজারে একটি দোকানে দেখা যায় নকল ‘খান’ ডিটারজেন্ট পাউডার। এটি দেখতে হুবহু ইউনিলিভার কোম্পানির ডিটারজেন্টের মতো।
এ ব্যাপারে রবিউল নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি নকল ‘খান’ পাউডার কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ পাউডার ব্যবহার করায় আমার নতুন পাঞ্জাবিটা ঝলসে গেছে।
ডুমুরিয়ার অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার।
ডুমুরিয়ার শাহপুরে খান কর্পারেশন প্রোডাক্ট কারখানার ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালঘরের একটা রুমে বিএসটিআইয়ের এর ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার। এখানে তৈরি ডিটারজেন্ট গ্রামে ফেরি করে ও দোকানে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে।