চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ে ইজিবাইক চালকরা নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদার করছে। যা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৫ মে কর্পোরেশন নির্বাচনে আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্র“তি দেন। তার সেই প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে ৬ থেকে ১৪ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত ৫শ’ টাকা মূল্য ফরমে আবেদন জমা নেয়া হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ৮ হাজার লাইসেন্স প্রদানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খুব শিগগিরই এসব লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
এর আগে ২০১০-১১ অর্থ বছরে নগরীতে চলাচলের জন্য দুই হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করে কর্পোরেশন। পরে ৩৭টির লাইসেন্স স্থগিত রেখে ১৯৬৩টি ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত এ ইজিবাইকগুলো ২০১১-১২ অর্থবছর নবায়নের মধ্যদিয়ে চলাচললের অনুমতি অব্যাহত রাখে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান বন্ধ রাখতে কেসিসিকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি প্রদান করেছিল।
জানা গেছে, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পে-অর্ডার জমা দেয়া এসব ইজিবাইকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সবুজ রং ও ডান পাশও বন্ধ করেনি। তারা কর্পোরেশনের এ নির্দেশনা অমান্য করে সড়কে চলাচল করছে। এছাড়া নগরীতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ে ইজিবাইক চালকদের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদার করছে। যা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, সোনাডাঙ্গা থেকে রূপসা ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত আগে ভাড়া ছিলো ১০ টাকা। বর্তমানে সেখানে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা । অর্থাৎ বর্তমানে ৫ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শুধু সোনাডাঙ্গা রূপসা রুট না। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নিরালা-ময়লাপোতা, ময়লাপোতা-রূপসা, শিববাড়ি-রূপসা, শিববাড়ি-খালিশপুর রুটেও বেশিরভাগ চালকরা যে-যার মতো করে ভাড়া নিচ্ছেন। এছাড়া কোন রুটে মাঝপথে নামলে পুরো রুটের ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ভাড়া আদায়ে কোন শৃঙ্খলা নেই। এর বিরুদ্ধে কর্পোরেশনের প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন নগরবাসী।
অন্যদিকে সব ক্ষেত্রে এ অভিযোগ সঠিক না। কারণ কোন কোন চালক আবার পূর্বের ভাড়াও নিচ্ছেন। চালকরা বলছে, ডানপাশ আটকিয়ে দেয়ায় একটি সিট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ কারণে ভাড়া একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।
তবে কর্পোরেশনের লাইসেন্স কর্মকর্তা (যানবাহন) রবিউল আলম বলেন, ইজিবাইক চালকরা যাতে কোনভাবেই বেশি ভাড়া আদায় করতে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার থেকে কর্পোরেশনের যানবাহন শাখার একটি প্রতিনিধি দল মনিটরিংয়ে নেমেছে। চালক ও যাত্রীদের কাছে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাত্রীদের কাছে আলাদাভাবেও শোনা হচ্ছে। তবে কোন চালকের বিরুদ্ধে যাত্রীরা অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।