চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ময়ূরসহ ২৬টি নদী-খালে যতদিন পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা থাকবে ততদিন উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। গতকাল ময়ূর নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, প্যানেল মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না ও আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, মোঃ শমশের আলী মিন্টু ও মোঃ গোলাম মওলা শানু, মহিলা কাউন্সিলর মাজেদাসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
জানা গেছে, মহানগরীসহ আশপাশের খাল ও নদী বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দুই পাড় দখল করা হয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তির মতো কেউ বাড়ি, কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কেউ নানা স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করেছে। অনেক স্থানে নেট-পাটা দিয়ে পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়ক ও ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে পানি জমে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি কমাতে ময়ূর নদী ও ২৬টি খালে যৌথ জরিপ জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সরকারের ৪টি সংস্থা। জরিপ শেষে ৪৬০ জনের দখলদার এবং ৩৮২টি স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ময়ূর নদীতে রয়েছে ৭৯ জন ব্যক্তি ও ৬৩টি স্থাপনা। এরপর কেসিসি’র ৭তম সাধারণ সভায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে খালের এসব অবৈধ উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল বেলা ১১টায় ময়ূর নদীর বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে ১০টি টিনসেড, একটি একতলা বিশিষ্ট ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দুইজন দখলদার দু’টি বহুতল ভবণ নিজের উদ্যোগে ভাঙা শুরু করেছে। কর্পোরেশনের বৈষয়িক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ফের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।