চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এলাকায় পৃথক দুই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে গতকাল রবিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতা কিশোরীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মতাজুল হক জানান, সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বয়রা ক্রস রোড এলাকায় এক কিশোরী (১৪) কে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সোনাডাঙ্গা তৃতীয় আবাসিক এলাকার ছাত্তার বকশীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কবির হাওলাদারের ছেলে বশির হাওলাদার (২২) গত ২১ অক্টোবর ফুসলে নিয়ে যায়। পরে তার দুই সহযোগী একই এলাকার মৃত রজব আলী হাওলাদারের ছেলে কবির হাওলাদার (৪৮) ও ঝালকাঠি জেলার ভাইলাবুনিয়া গ্রামের খবির উদ্দিন শিকদারের ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেনের (৩২) সহযোগিতায় ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে বিয়ে করে। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বশিরের মায়ের ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে। তবে বশির হাওলাদারের পূর্বে বিয়ে ও সন্তান রয়েছে সে বিষয়টি গোপন রাখে। বিষয়টি টের পেয়ে গত ৩১ অক্টোবর ওই স্কুলছাত্রী পালিয়ে তার বোনের কাছে চলে আসে। গতকাল রবিবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীদুল ইসলাম আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়া রিমান্ড আবেদনের শুনানীর জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।
অপর দিকে খালিশপুরের লেবুতলায় পানি আনতে গিয়ে গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় গণধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী। কিশোরীর মা এ ঘটনায় গত শনিবার দিবাগত রাতে ৬ জনের নাম উল্লে¬খ করে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় খালিশপুর লেবুতলা মোড়ের মোঃ সালাম গাজীর ছেলে অভিযুক্ত মোঃ রিপন (১৫) ও বাবুল হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইয়াসিন হাওলাদার (১৬)ও তাদের সহযোগী একই এলাকার শাহীন গাজীর ছেলে মোঃ আলামিন (১৬) কে গ্রেফতার করে। অবশ্য মামলার প্রধান আসামি একই এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ ফয়সাল (১৭), লেবুতলা জামাই পুকুর পাড় এলাকার তম্ময় (১৭) ও হৃদয় (১৫) পলাতক রয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান, গত শনিবার রাতে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে। মেয়েটিকে রিপন ও তার বন্ধু ইয়াসিন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। আসামিরা কিশোর হওয়ায় তাদের আদালতের মাধ্যমে যশোর কিশোর সংশোধানালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। এর আগে এ তিনজন আসামির মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।