চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল গতকাল থেকে বন্ধ করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। ফলে নগরীতে প্যাডেল রিকশা ছাড়া ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। সঙ্গতকারণে শহর ছিলো অনেকটা যানজটমুক্ত। কর্পোরেশনের এ সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়পোযোগী ও জনকল্যাণকর উল্লে¬খ করে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নগরবাসী।
জানা গেছে, নগরী জুড়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল শুরু করে ব্যাটারী চালিত রিকশা। অবৈধভাবে চলাচলরত তিন চাকার এসব রিকশা কোন ট্রাফিক আইন মানছে না। এছাড়া ছোট আকৃতির তিন চাকার এ যান দ্রুতগতিতে চলার পর আর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না চালকরা। ফলে একদিকে যেমন নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি প্রায়শই ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। যার প্রেক্ষিতে কেসিসি নগরীতে ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে গতকাল থেকে নগরীতে প্যাডেল রিকশা ছাড়া ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। শহর ছিলো অনেকটা যনজটমুক্ত। অন্যদিকে, নগরীতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ও বেপরোয়াভাবে ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা রোধে সুশৃঙ্খল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কেসিসি’র এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
নগরীর নিরালা এলাকার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, ব্যাটারী চালিত রিকশার কারণে আহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। গত সপ্তাহেও নিরালা মোড়ে দ্রুতগতিতে যেতে গিয়ে রিকশা উল্টে যায়। ওই সময় রিকশায় থাকা তার ভাই গুরুতর আহত হয়। বিশেষ করে বাম হাত ভেঙে গেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
শিববাড়ীর বাসিন্দা আতিকুর ইসলাম বলেন, ব্যাটারী চালিত রিকশাগুলো দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে চালানো হয়। ফলে মানুষের চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছিলো। সড়কে এ রিকশার দাপটে আতঙ্কা বিরাজ করতো। এখন মানুষের মনে স্বস্তি ফিরো এসেছে।
নাগরিক নেতা কুদরত-ই-খুদা বলেন, কর্পোরেশনের অত্যন্ত ভাল, সময়পোযোগি ও কল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই যতই কঠিন হোক না কেন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা দরকার। এছাড়া পান্ডেল চালিত রিক্সা ও ইজিবাইকের ক্ষেত্রেও আইন করতে হবে। বিশেষ করে প্রধান সড়কে পান্ডেল চালিত রিকশা আসতে দেয়া যাবে না। কারণে প্রধান সড়কে দ্রুতগতি সম্পন্ন যান চলাচল করে। তাই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ইজিবাইক সীমিত করতে হবে। তাহলে নগরীতে যানজট থাকবে না। ভোগান্তি কমবে মানুষ নিরাপদ চলাচল করতে হবে।
কর্পোরেশনের লাইসেন্স কর্মকর্তা (যানবাহন) রবিউল আলম বলেন, খুলনার ঐতিহ্য ব্যাটারী বিহীন (প্যাডেল) রিকশা চলাচল করবে। ব্যাটারী চালিত কোন রিকশা চলবে না। সুতরাং কোন চালক ব্যাটারীচালিত রিকশা চালানোর চেষ্টা করলে ব্যাটারী খোলাসহ রিকশা জব্দ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বুধবার নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে ২৪নং ওয়ার্ড থেকে ১৩টি চার্জজিং পয়েন্ট বিচ্ছিন্ন করা হয়।